Dr. Neem on Daraz
Victory Day

কাউন্সিলর সালাউদ্দিন: বাস মালিকদের কাছে আতঙ্ক


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: এপ্রিল ১০, ২০২১, ০২:৫৫ পিএম
কাউন্সিলর সালাউদ্দিন: বাস মালিকদের কাছে আতঙ্ক

ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকাঃ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের দুর্নীতিবিরোধী কঠোর অবস্থানের পরও ধীরে ধীরে বেপরোয়া উয়ে উঠছেন কাউন্সিলররা। করোনা পরিস্থিতিতে সবকিছু থেমে থাকলেও কিছু কিছু কাউন্সিলরের বেপরোয়া ভাব থামেনি। এই পরিস্থিতিতে যার যার এলাকার লাভজনক খাতগুলো অর্থাৎ গণপরিবহনে চাঁদাবাজি,  সিটি করপোরেশন মার্কেট কমিটি, স্কুল-কলেজ গভার্নিং বডির কমিটি, বর্জ্য টেন্ডার, টেম্পু-অটো স্ট্যান্ড দখলে নেয়ার চেষ্টা করছেন কাউন্সিলররা। এছাড়াও চাঁদাবাজি, জমি দখলেও জড়াচ্ছেন অনেক কাউন্সিলর। এ নিয়ে সিটি করপোরেশনের মেয়র, এমনকি প্রধানমন্ত্রী বরাবর কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে অভিযোগও করছেন ভুক্তভোগীরা।

বেপরোয়া কাউন্সিলদের নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের এবারের অংশে থাকছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সালাহ উদ্দিন আহমেদকে নিয়ে।

দীর্ঘদিন কমিটি না হওয়া ডেমরা ইউনিয়ন যুবলীগের মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ৬৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সালাহ উদ্দিন আহমেদ গত সিটি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পাইলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে কাউন্সিলর হন। আর কাউন্সিলর নির্বাচিত হবার পরই হয়ে উঠেন বেপরোয়া।

রাজধানীর ডেমরা থেকে ছেড়ে যাওয়া এবং ডেমরায় আসা বাসগুলো থেকে চাঁদা তোলাই তার প্রধান টার্গেটে পরিণত হয়। করোনাকালে গণপরিবহনে চাঁদাবাজিতে তিনি আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। এর বাইরে সিএনজি স্টেশন দখল, চাঁদা নেয়া থেকে শুরু করে একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে স্থানীয়দের।রাজধানীর রাজধানী পরিবহন, অসীম পরিবহন, আসমানী পরিবহনসহ বেশ কয়েকটি পরিবহন থেকে মাসিক চাঁদা আদায় করেন তিনি। মিনিবাস থেকে সর্বনিন্ম ২০ হাজার থেকে শুরু করে ১ লাখ টাকা পর্যন্তও চাঁদা নেন। আর কাউন্সিলরের হয়ে এই টাকা তোলেন স্থানীয় যুবলীগ নেতা আব্দুর রহমান।

নাম প্রকাশে ডেমরা রুটে চলা বেশ কয়েকটি পরিবহন মালিক বলেন, আমরা যদি কাউন্সিলর সালাউদ্দিনকে মাসিক চাঁদা না দেই তাহলে এই রুটে বাস চালাতে দিবে না।বাধ্য হয়েই তাকে টাকা দিতে হয়। তাকে চাঁদা না দিলে বাসের চাকা ঘুরবে না এই হুমকি দেন কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠ আব্দুর রহমান।

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ৬৯ নং ওয়ার্ডের এক আওয়ামীলীগ নেতা বলেন, পঞ্চাশ দশকে কাউন্সিলর সালাউদ্দিনের দাদা  গোল আহম্মেদ ছিলেন দীর্ঘ ১৫ বছর ডেমরা ইউপির চেয়ারম্যান সত্তরের দশকে তার বাবা মরহুম তমিজউদ্দিন আহম্মেদ এ এলাকার সফল মেম্বার ছিলেন। তিনি রাজনৈতিক এই পরিচয়েই দাপিয়ে বেড়ান। শুধু গণপরিবহনে চাঁদাবাজিই নয় এই ওয়ার্ডে কোন বিল্ডিং তৈরি হলে তাকে মাশোয়ারা না দিলে কাজ বন্ধ করে দেন। সরকারি জায়গা দখলসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে করেন। আর কাউন্সিলরের হয়ে এই টাকা তোলেন স্থানীয় যুবলীগ নেতা আব্দুর রহমান।এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডেমরা মোড়ে দায়িত্বরত এক ট্রাফিক সার্জেন্ট নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পরিবহন সেক্টরে স্থানীয় কাউন্সিলরদের চাঁদাবাজি নতুন কিছু নয়। এটা বন্ধ হওয়া দরকার। না হলে পরিবহন খাতের নৈরাজ্য কখনও থামবে না।

তবে এই বিষয়ে জানতে চাইলে কাউন্সিলর সালাহ উদ্দিন আহমেদ  অভিযোগের বিষয়ে কোন সদুত্তর না দিয়ে এই প্রতিবেদকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। পরিবহন মালিকদের কাছ থেকে টাকা খেয়ে এই ভুয়া সাংবাদিকতা করছে অভিযোগে করে এই প্রতিবেদককে নিউজ করলে দেখে নেয়ার হুমকি দেন।

আগামীনিউজ/নাসির

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে