Dr. Neem on Daraz
Victory Day

গাজায় অলৌকিক কিছু হচ্ছে!


আগামী নিউজ | ড. আতেফ হাম্মাম প্রকাশিত: মে ৩১, ২০২৫, ১১:৫০ এএম
গাজায় অলৌকিক কিছু হচ্ছে!

একজন ব্রিটিশ সামরিক বিশেষজ্ঞ বলেন, 
গাযায় এমন এক গোপন শক্তি রয়েছে যার ফলে যুদ্ধ এত দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে।

শুধুমাত্র হামাস যোদ্ধাদের কারণে এটা সম্ভব নয়।

একজন মার্কিন সামরিক বিশেষজ্ঞ বলেন,

আমেরিকা এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ইসরায়েলকে যে পরিমাণ অস্ত্র সরবরাহ করেছে তা গাযার চেয়ে দশ গুণ বড় একটি এলাকা ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট।

এই অস্ত্রের পরিমাণ ছয়টি পারমাণবিক বোমার সমান যা একটি স্থানকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিতে পারে।

তিনি আরও বলেন,

গাযার আকাশ এখন ইসরায়েলি, আমেরিকান, ব্রিটিশ, ফরাসি এবং জার্মান বিভিন্ন ধরনের নজরদারি ড্রোন এবং গুপ্তচর বিমানে ভরে আছে।

যেগুলো অত্যন্ত নির্ভুলতার সাথে প্রত্যেকটি নড়াচড়া রেকর্ড করে।

তবুও আশ্চর্যের বিষয় হলো,

এই যোদ্ধারা কীভাবে বাইরে এসে ইসরায়েলি সামরিক যান ধ্বংস করে!

সেনাদের গুলি ও হত্যা করে!

বিস্ফোরক বসায় এবং এমনভাবে হামলা করে যে ইসরায়েলি বাহিনীর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ যানবাহন ধ্বংস হয়ে গেছে।

 হাজার হাজার সৈন্য নিহত ও আহত হয়েছে।

অথচ এসব নজরদারি ড্রোন ও বিমানের চোখে তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না বা খুঁজে পেলেও খুবই সামান্য।

আরেকজন বলেন,

গাযার মোট আয়তন ৩৬৫ বর্গকিলোমিটার। তার মধ্যে ৭৫% এলাকা অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ। 

বিমান থেকে হাজার হাজার বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।

ভূমি, সাগর এবং আকাশ থেকে একযোগে হামলা হয়েছে।

এফ-১৫, এফ-৩৫ ও অ্যাপাচি হেলিকপ্টার থেকে প্রচুর আগুন বর্ষণ হয়েছে।

প্রায় সব ধরনের অস্ত্রই ব্যবহৃত হয়েছে অতি মাত্রায়।

আমি এমন ভিডিও দেখেছি যেখানে গাযার শিশুদের দেখা গেছে অবিস্ফোরিত ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে খেলা করছে।

আরেকজন বলেন,

এখানে একটি অলৌকিক ঘটনা ঘটছে। এই যোদ্ধারা যেন অদৃশ্য। এটা ঈশ্বরের শক্তি।

তারা কীভাবে গিয়ে ট্যাংকে বোমা বসিয়ে আসে, সেটা দেখে আতঙ্কিত হয়ে যেতে হয়।

তাদের ভয় নেই, তাদের ইচ্ছাশক্তি প্রবল, আর তারা সফল হবেই।

গাযার শিশুরা অবিস্ফোরিত ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে খেলছে। এটা যদি আমাদের দেশে হতো তাহলে বোম্ব স্কোয়াড, ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিট এবং বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞরা এসে চারপাশ ঘিরে ফেলতো।

কিন্তু এখানে কিছুই হয় না, যেন তাদের অদৃশ্য কেউ রক্ষা করছে।

এই যোদ্ধারা যেন সাধারণ মানুষ নয়। তারা কোথায় এমন প্রশিক্ষণ পেয়েছে?

ইসরায়েল এমন এক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে, যেখানে তারা জয়ী হতে পারবে না।

তাদের সেনাবাহিনী পুনর্গঠন করতে বহু বছর লেগে যাবে। মানসিকভাবে, মনোবল ফিরে পেতে এবং যুদ্ধের স্পৃহা ফিরিয়ে আনতে।

কিন্তু গাযার যোদ্ধাদের মতো তা হতে পারবে না।

সুবহানআল্লাহ!
 

লেখক: ড. আতেফ হাম্মাম

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে