Dr. Neem on Daraz
Victory Day

নির্বাচকালীন সরকারের নাম নিয়ে কী যায় আসে: গয়েশ্বর


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: মে ১৩, ২০২২, ০২:৩৩ পিএম
নির্বাচকালীন সরকারের নাম নিয়ে কী যায় আসে: গয়েশ্বর

ঢাকাঃ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের উদ্দেশে বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, 'নির্বাচকালীন সরকারের নাম নিয়ে কী যায় আসে? আগে ঐকমত্য হন। তারপর নাম রাখা যাবে। কারণ সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে পরেও নাম রাখা যায়।'

তিনি বলেন, আমরা এখন ঐক্যের জন্য সংগ্রাম করছি। এরপর একটি লক্ষ্য আদায়ের জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন হবে। 

শুক্রবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর বলেন, আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী চরিত্র বিরোধী সব রাজনৈতিক দলকে এক কাতারে নিয়ে এসেছে। ফলে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা আর বেশি দূরে নয়। যেকোনো সময় সেটা জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে। সেইসঙ্গে আগামী দিনের আন্দোলনের রুপরেখা তারেক রহমান তুলে ধরবেন। আমাদের প্রস্তুতি শেষ দিকে।

সরকারের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর বলেন, দেশের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেন। তাহলে জনগণ আপনাদের অবস্থা শ্রীলংকার মতো করবে না।

তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য বাধা হলো শেখ হাসিনা ও তার সরকার। আমরা তার অধীনে নির্বাচনে যাবো না। তবে যেনতেনভাবে আরেকটি নির্বাচন করতে দেয়া হবে না। কারণ সেই সক্ষমতা তাদের নেই। জনতার শক্তির কাছে কোনো শক্তি টিকতে পারবে না। আসুন তারেক রহমানের নেতৃত্বে রাজপথে নামার প্রস্তুতি নিন। আমরা বিশ্বাসযোগ্য আন্দোলন উপহার দিতে পারবো।

তিনি বলেন, জাতীয়তাবাদী শক্তি যখনই ঐক্য প্রতিষ্ঠা করবে তখনই ফ্যাসিস্ট ও লুটেরারা বিতাড়িত হবে। আজকে সরকার লুটপাট নিয়ে ব্যস্ত। সরকারের চারপাশে লুটেরা গোষ্ঠী রয়েছে। আজকে অর্থনীতি ধ্বংস।

গয়েশ্বর বলেন, শ্রীলংকা শতভাগ শিক্ষিত দেশ। একসময়ের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ দেশ আজকে ধ্বসে পড়লো। কারণ একটি সেখানকার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর পরিবারের সদস্যরা লুটপাট করেছে। আমেরিকার পাচারের অর্থ জব্দ করেছে। সেখানকার চেয়েও খারাপ অবস্থা বাংলাদেশে। যার সততা মিলেছে ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের জেলা সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যে। শেখ হাসিনাকে ঘিরে লুটের সাম্রাজ্য বিস্তার লাভ করেছে। তারা মুদ্রা পাচার করছে। সুতরাং বাংলাদেশে কী ঘটবে সেটা বলা যায় না। আমরা চাই না শ্রীলংকার পরিস্থিতি বাংলাদেশে আসুক। শেখ হাসিনা সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে সাবধান হোন।

তিনি বলেন, আজকে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি, পারে না। দিনের ভোট রাতে কাটে। সুতরাং আমরা সব রাজনৈতিক দল যদি একসাথে বলি নির্বাচনে যাবো না তাহলে নির্বাচন কমিশন আর ইভিএম নিয়ে কথা হবে না। আমরা অযথা সময় নষ্ট করছি কেন? মানুষকে সাথে নিয়ে রাজপথে নামতে হবে। আমাদের নেতা তো খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান। খালেদা জিয়া বন্দী কিন্তু তারেক রহমান তো নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি ফ্যাসিবাদ থেকে বাংলাদেশ মুক্ত করতে চান।

গয়েশ্বর আরো বলেন, এই সরকার পদত্যাগ করলেই শুধু হবে না জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। তা না হলে ২০১৪ সালের মতো নির্বাচন হবে। সংসদ বহাল রেখেই কিভাবে আরেকটি সংসদ নির্বাচন হয়? 

তিনি বলেন, আজকে সরকার শুধু মাথাপিছু আয়ের কথা বলেন কিন্তু ঋণের কথা বলে না। বিদেশ থেকে যত টাকা ঋণ করেছেন তার সুদের টাকা যোগান দেয়ার ক্ষমতা বাংলাদেশের নেই। ফলে আগামী দুই বছর পর চালের কেজি হবে ৩০০ টাকা। শ্রমিক পাওয়া যায় না। কাজের বুয়া পাওয়া যায় না। আজকে ট্যাক্স ও ভ্যাট বাড়িয়ে বাজারমূল্য ঊর্ধ্বমুখী।

গয়েশ্বর বলেন, আমরা তো আন্দোলনে আছি। আন্দোলনের গতি হয়তো পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনায় বাড়বে বা কমবে। এটাই আন্দোলনের কৌশল। তবে আঘাত আসলে পাল্টা আঘাত। পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে প্রতিশোধ নিতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকার দেশের পরিস্থিতি যা করেছে তাতে আমাদের লাগবে না। শেখ হাসিনার লোকেরাই তাকে কাঁঠালের মতো ছিড়ে খাবে। কারণ আওয়ামী লীগের লুটপাটের ভাগ তাদের দলের একটি অংশ পায়নি। 

এলডিপির সভাপতি আব্দুল করিম আব্বাসীর সভাপতিত্বে ও এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম ও আবুল বাশারেরর পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন, বিশদলীয় জোটের শরিক এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় দলের এহসানুল হুদা, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, এলডিপির নেতা ও সাবেক এমপি আব্দুল গণি, চাষী এনামুল হক, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।

এমএম

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে