।। রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ হবে কবে ।।
ড. নিম হাকিম
১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় পাকবাহিনী মানুষের বাড়ি ঘরে আগুন দিয়ে, মানুষকে হত্যা করে সব কিছু লুটপাট করে দুর্বৃত্তায়ন শুরু করল।তারপর স্বাধীনতা বিরোধীরা শুরু করল। যুদ্ধ শেষে ভারতীয় মিত্রবাহিনী মিত্রের মত আমাদের রাস্ট্রীয় সম্পদ লুটতরাজ করে নিয়ে গেল। মুক্তি বাহিনীর একাংশ আর মুজিব বাহিনী অবাংগালীদের সম্পদ লুট আর আর চাঁদাবাজ শুরু করল।
যুদ্ধ পরবর্তীতে শেখ মনি আর গোলাম মোস্তফা রিলিফের মাল চুরি আর লুট করে করে নুতন দুর্বৃত্তায়ন শুরু করল। এর পর রক্ষীবাহিনী আর মুজিবাহিনীর গুপ্ত হত্যা দিয়ে শুরু হল রাজনৈতিক হত্যাকান্ড। ঘুষের মহোৎসবও সেখান থেকে আরম্ভ।
আমাদের চরিত্রে সংযোজন হল রাজনৈতিক চুরি, দুর্নীতি, ঘুষ, লুটপাট, রাজনৈতিক হত্যা, আত্নকেন্দ্রীকতা, অপরাধ প্রবনতা,প্রশাসন আর বিচার বিভাগের স্বাধীনতাহরণ।
নষ্ট হয়ে গেল রাজনৈতিক চরিত্র।
পার হয়ে গেল প্রায় ৫৪ বছর এই দুর্বৃত্তায়নের বিষবৃক্ষ ডাল পালা মেলে পরিনত হয়েছে বিশাল বটবৃক্ষে। তার বীজ ছড়িয়ে পুরো জাতির মধ্যে হয়েছে অংকুরিত।
যে দল যখন ক্ষমতায় এসেছে তারাই দুর্বৃত্তায়নে চাম্পিয়ন হয়েছে।
আর এর নব্য সংস্করণ হল ক্ষমতায় না যেতেই এর ভয়াবহ বিস্তার আর রাস্ট্র ও জনগণ তার নিরুপায় নিরব সাক্ষী।
দিনে দুপুরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল মিলে জাফলংয়ের সাদা পাথর হরিলুট তার নমুনা মাত্র!