Dr. Neem on Daraz
Victory Day

ন্যাচারোপ্যাথি এন্ড পারমাথেরাপি


আগামী নিউজ | ড. নিম হাকিম প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৩, ২০২৪, ০৪:১৩ পিএম
ন্যাচারোপ্যাথি এন্ড পারমাথেরাপি

ঢাকাঃ ড. নিম হাকিম, পি এইচ ডি

পারমাকালচারিস্ট, পারমাথেরাপিস্ট, হারবালিস্ট, নিমোলজিস্ট এন্ড ন্যাচারোপ্যাথিক কনসালটেন্ট 

ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ন্যাচারোপ্যাথি এন্ড পারমাথেরাপি

www.iinp-edu.org

 

ন্যাচারোপ্যাথি বা প্রাকৃতিক নিরাময় কি?

যদিও ন্যাচারোপ্যাথি (প্রাকৃতিক নিরাময়)  বিষয়টির উৎপত্তি হয়েছে ১৯ শতকের শেষভাগে, এই পদ্ধতিটি আরও অনেক আগেই  জার্মানি থেকে গ্রিস জুড়ে এবং স্বয় হিপোক্রিটাসের সময়, এমনকি তারও পুর্ব থেকে  ব্যাপক পরিচিত ছিল বলে জানা যায়। আদিকাল থেকেই কিছু কিছু মানুষ ছিলেন যারা জানতেন যে মানুষের নিজ শরীরের ভেতরই রোগ বালাইয়ের উপশম নিহিত আছে যদি শরীরের যা প্রয়োজন তা সে পায়, যথাঃ সুষম খাদ্য, বিশুদ্ধ পানীয় জল, পরিচ্ছন্ন ও নির্মল বাতাস, সূর্যালোক, ব্যায়াম এবং বিশ্রাম। এ  ধরণের মানুষেরা শরীর যাতে নিজে নিজেই প্রয়োজন অনুযায়ী সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে পারে সেদিকেই বেশি নজর দিতেন, রোগ-বালাইয়ের দিকে নয়। আধুনিক কালে এই সকল জ্ঞানী শিক্ষকগন “প্রাকৃতিক চিকিৎসক” বা  “প্রাকৃতিক চিকিৎসা পরামর্শক” নামে সম্যক পরিচিত। 

যদিও ন্যাচারোপ্যাথরা স্বিকার করেন যে মাঝে মাঝে এলোপাথিক স্বাস্থ্য সেবা গ্রহন আবশ্যক হয়ে পড়ে,  কিন্তু তারা এটাও ভালোভাবেই বুঝেন, এলোপ্যাথিক চিকিৎসা দর্শন স্থায়ী  স্বাস্থ্য বিকাশের জন্য কার্যকরি কোন ব্যবস্থা নয়। এলোপ্যাথিক দর্শন মতে যেকোন  রোগ বালাই বাহ্যিক কোন প্রভাবক দ্বারা সংক্রমিত হয়। এই দর্শন মোতাবেক , যখন এই বাহ্যিক প্রভাবকগুলি সম্পুর্ন ধ্বংস্প্রাপ্ত হবে, শরীর আরোগ্য লাভ করবে।  উপরন্তু, এলোপ্যাথিক পদ্ধতি রোগের লক্ষণ এবং রোগকে অভিন্ন ব্যাপার হিসেবেই বিবেচনা করে থাকে।

ন্যাচারোপ্যাথ যে কোন রোগের লক্ষণকে শারিরীক রোগের বা সমস্যার আগাম সংকেত হিসেবে দেখে। ন্যাচারোপ্যাথ এর দর্শন মতে শুধুমাত্র রোগের লক্ষণকে যদি নির্মূল করা হয়, তাহলে সেই রোগ দীর্ঘকাল অবদমিত হয়ে থাকবে। যতক্ষণ না প্রকৃত কারণ চিহ্নিত ও নির্মূল হচ্ছে, রোগের লক্ষণ পরবর্তিতে দীর্ঘস্থায়ী রোগের উপসর্গ হিসেবেই ফিরে আসবে। 

শরীর-মন-উদ্যম 

মানুষের মন রোগ উপশমের এক অসাধারণ  ক্ষমতা রাখে। ন্যাচারোপ্যাথি এ প্রসঙ্গে মন ও শরীরের নিবিড় সম্পর্কের বিষয় নিয়েই কাজ করে থাকে

প্রাকৃতিক চিকিৎসার কাজঃ

শিক্ষা বা (Education) শব্দের উৎপত্তি ল্যাটিন শব্দসমষ্টি “ decendo discimus, হতে, যার অর্থ দাঁড়ায় “by teaching, we learn”  বাংলায় “ শেখানোর মাধ্যমেই আমরা শিখি”। শিক্ষার মাধ্যমে উপদেশ প্রার্থী  জানতে পারে কিভাবে স্বাস্থ্যসম্মত সামগ্রিক জীবন যাপন করা যায়।

প্রাকৃতিক চিকিৎসক গন নিম্নবর্নিত নীতিমালা অনুসরণ করে চলেন;

কোনো ক্ষতি করোনা (Do no HARM)

 Primum non nocere   হচ্ছে হিপোক্র্যাটিক শপথের একটি অংশ। ন্যাচারোপ্যাথ বা প্রাকৃতিক চিকিৎসা ব্যবস্থা কখনো আধুনিক চিকিৎসা উপকরণ এবং ড্রাগ  এর মতো ক্ষতিকর, কৃত্রিম উপকরণ ব্যবহার করে না, এমনকি সার্জারীর মতো কষ্টদায়ক কোন পদ্ধতিও অনুসরণ করে না। 

প্রকৃতির নিরাময় ক্ষমতাকে স্বীকার করে। 

প্রাকৃতিক চিকিৎসকগন দেহের সহজাত স্ব-আরোগ্য লাভের ক্ষমতা সম্পর্কে  পরিপূর্নভাবে অবগত আছেন। তারা তাদের উপদেশপ্রার্থীকে আরোগ্য লাভ সংক্রান্ত  অভ্যন্তরীন ও বাহ্যিক পরিবেশ সম্পর্কে শিক্ষা দান করে থাকেন। 

খারাপ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সকল কারণ উদ্ঘাটন ও নির্মূলকরণ

প্রাকৃতিক চিকিৎসকগন  তাদের উপদেশপ্রার্থীকে জীবনযাত্রার ভিন্ন ভিন্ন উপায় মূল্যায়ন করার পদ্ধতি শেখান যাতে করে তারা যে কোন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা চিহ্নিত ও তা সংশোধনের উপায় খুঁজে বের করতে পারেন। 

স্বাস্থ্য বিষয়ক শিক্ষা প্রদান

 প্রাকৃতিক চিকিৎসক গন মক্কেলকে সুস্বাস্থ্য লাভ ও তা ধরে রাখার কৌশল শেখান। ভাল থাকার কর্ম্ পদ্ধতি সম্পর্কে সচেতন করে তারা উপদেশপ্রার্থীকে ক্ষমতাবান করেন।

ব্যক্তিকে সম্মান প্রদান

একজন ব্যক্তির আসুখ সাধারণ ভাবে কখনোই শুধুমাত্র মাথাব্যথা, পিঠ ব্যথা বা গলা ব্যথা নয়। গুরুতর আঘাত ছাড়া খুব কম ক্ষেত্রেই একজন মানুষের সমস্যা শুধুমাত্র একটি মাত্র রোগে সিমাবদ্ধ থাকে। প্রাকৃতিক চিকিৎসক গন ভালো ভাবেই জানেন যে মানুষ শারিরীক, মানসিক এবং আধ্যাত্বিক রূপের এক সম্মিলিত সত্তা, আর তাই, একটি রোগ জীবনের সকল ক্ষেত্রেই প্রভাব ফেলে। 

রোগ প্রতিরোধ

কিভাবে হোমিওস্টাটিক (সুস্থিতি) ভারসাম্য তৈরী করতে হয়, উপদেশপ্রার্থীকে তা শিখিয়ে প্রাকৃতিক চিকিৎসকগন অন্যদেরকেও ভবিষ্যৎ স্বাস্থ্য রক্ষার ব্যাপারে সহায়তা করেন।

প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতি যা করে নাঃ 

উপদেশপ্রার্থীকে একটি স্বাস্থ্যসম্মত, সামগ্রিক জীবনাচরণ সম্পর্কে জ্ঞান দান করার ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক চিকিৎসকগন কি কি এলোপ্যাথিক চর্চা এড়ানো যায় , তা শেখানঃ

রোগ নির্নয়

প্রাকৃতিক চিকিৎসকগন কোন একটি স্বাস্থ্য সমস্যার মূল কারণ উদ্ঘাটনের জন্য রোগের বিভিন্ন লক্ষণ/ উপসর্গ মূল্যায়ন ও বিশ্লেষন করে থাকেন, কিন্তু তারা কখনো রোগ নির্নয় করেন না। 

রোগের চিকিৎসা পরিচালনা 

প্রাকৃতিক চিকিৎসকগন স্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত শিক্ষায় বেশি মনোযোগ দেন, কোন নির্দিষ্ট রোগের  চিকিৎসা প্রদানে নয়। প্রাকৃতিক চিকিৎসকগন তাদের মক্কেলদেরকে ভালো স্বাস্থ্য লাভ ও রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় অভ্যন্তরীণ  ও বাহ্যিক পরিবেশ তৈরির কৌশল শিখিয়ে তাদের মানসিক শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করেন।

ঔষধ ও চিকিৎসা উপকরণ এর ব্যবস্থা পত্র প্রদান

বহু প্রাকৃতিক চিকিৎসকগন তার উপদেশপ্রার্থীকে ভেষজ লতাগুল্ম, হোমিওপ্যাথিক ব্যবস্থাপনা এবং ঔষধী গূন সমৃদ্ধ খাদ্য ও পুষ্টি সামগ্রী  ব্যবহারের বিষয়ে পরামর্শ প্রদান দান করেন। তারা কখনও চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্র প্রদান করেন না। 

ক্ষতিকর/কষ্টদায়ক পদ্ধতি অনুসরণ

নিজস্ব প্রশিক্ষণ, প্রশিক্ষণের স্থায়ীত্ব কাল এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে প্রাকৃতিক চিকিৎসক গন রিফ্লেক্সোলজি (শরীরের প্রতিটি অংশের সাথে পা, হাত ও মাথার সংলগ্ন পয়েন্ট রয়েছে এমন তত্বের ভিত্তিতে উত্তেজনা থেকে মুক্তি এবং অসুস্থতার চিকিৎসা করার জন্য প্রচলিত ম্যাসাজ) বা আকুপ্রেসার ব্যবহার করেন। চিকিৎসকদের অনেকেই তাদের প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতির সাথে চিরোপ্র্যাকটিক ( বিশেষ ধরনের স্নায়বিক নিরাময়/উপশম ব্যবস্থা) ও ম্যাসাজ চিকিৎসাকে মিশিয়ে ভিন্ন মাত্রার চিকিৎসা সেবা প্রদান করে থাকেন। যে প্রাকৃতিক চিকিৎসক একজন “চিরোপ্র্যাকটর” তিনি তার অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতির সাথে হয়তো মেরুদন্ডের কশেরুকা সমন্বয় চিকিতসাও সম্পন্ন করে থাকেন। প্রাকৃতিক চিকিৎসক গন কখনো শল্য (সার্জিক্যাল) অপারেশনের মত শরীরের পক্ষে হানিক্ষর বা বেদনাদায়ক পদ্ধতি অনুসরণ করেন না। তারা ইঞ্জেকশন দেওয়া বা রক্ত সঞ্চালন সংক্রান্ত কোনো কাজ করেন না। 

Doctor  শব্দের উৎপত্তি ল্যাটিন Docere  থেকে যার অর্থ to teach  বা “শেখানো” 

 

পারমাথেরাপী কি? 

পারমাথেরাপী একটি স্থায়ী রোগ নিরাময় পদ্ধতি যা প্রাকৃতিক চিকিৎসকগন অন্যান্য পদ্ধতির সংমিশ্রণে প্রয়োগ করে থাকেন। এই পদ্ধতির সাথে আধ্যাত্ত্বিক চিকিৎসা পদ্ধতি মিশিয়েও চিকিৎসা প্রদান করা হয়। পারমাথেরাপী একটা সত্যকে অবলম্বন করেই কাজ করে থাকে। তা হলো “ প্রতিটি জীবের শারিরীক জটিলতা বা অসুস্থতার প্রতিকার রয়েছে”। এই পদ্ধতির আরেকটি বিশ্বাস হলো “ প্রতিটি জীবেরই নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ, উপশম এবং সুস্থ্যতা বজায় রাখার অন্তর্নিহিত ক্ষমতা রয়েছে”। যখন মানসিক ও শারিরীক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বা প্রতিরোধ ক্ষমতা কার্যকারিতা হারায় এবং তা পূনরুদ্ধারের উদ্যোগ ব্যর্থ হয়, তখনই শরীরের বিভিন্ন অংগ প্রত্যংগের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা বিঘ্নিত হয়। সুতরাং, এটি সমগ্র শরীর তন্ত্রকে প্রভাবিত করে। মানুষের শরীরের রোগ নিরাময় স্বাভাবিক ভাবেই ঘটতে থাকে যদি না শরীরের বিভিন্ন অংগ প্রত্যংগের কার্যকারিতা বিঘ্নিত হয়। 

পারমাথেরাপীর অনুসৃত নীতিমালা

 পারমাথেরাপী উদ্ভিদ, পশু এবং মানুষের মাঝে একটি উপকারী সম্পর্ক স্থাপন করে।

 পারমাথেরাপী পানি, বায়ু, খাদ্য এবং প্রাকৃতিক শক্তির নিরাময়কারী বৈশিষ্টকে কাজে লাগিয়ে থাকে।

 পারমাথেরাপী শুধুমাত্র মানুষের জন্যই নয়, এটি কোনো না কোনো ভাবে মানুষের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল জীবের জন্যও প্রযোজ্য।

 পারমাথেরাপী ঐতিহ্যগত নিরাময় জ্ঞান ও পদ্ধতির সাথে আধুনিক বৈজ্ঞানিক গবেষণার মিশ্রণ ।

 পারমাথেরাপী সকল ঐতিহ্যগত নিরাময় কৌশল, আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান এবং আদি চিকিৎসা দর্শনের একটি সংশ্লেষণ।

 পারমাথেরাপী পৃথিবীর আরম্ভকাল হতে চলে আসা সকল চিকিৎসা কৌশলের একটি সমন্বিত সংশ্লেষণ।

 পারমাথেরাপী তার উপদেশপ্রার্থীকে (রোগীকে) রোগ নিরাময় সম্পর্কে জ্ঞান দান করে, তবে রোগ নিরাময়ের জন্য কোন ঔষধের ব্যবস্থাপত্র প্রদান করেনা। 

 মানব সভ্যতা ও সংস্কৃতির আদিকাল থেকেই পারমাথেরাপীর উদ্ভব ও ব্যবহার হয়ে এসেছে যখন অন্য কোন রোগ নিরাময় বা উপশম পদ্ধতি মানুষের জানা ছিলোনা।

 পারমাথেরাপী বিশ্বাস করে যে, সকল শারিরীক অসুস্থ্যতার নিরাময় শরীরের মধ্যেই নিহিত রয়েছে; মানুষ এবং সকল প্রানীর নিজস্ব রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা রয়েছে যেটি কার্যকর ভাবে শারিরীক যেকোন রোগ নিরাময়ে সক্ষম।

 পারমাথেরাপী বিশ্বাস করে যে যদি মানুষ সঠিক ও নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন করে এবং তাদের খাদ্যাভ্যাস, পানীয় এবং পরিবেশের ব্যাপারে সচেতন থাকে, তাহলে তাদের কোন রকমের রোগ-বালাই থাকবে না। 

 পারমাথেরাপী বিশ্বাস করে যে মানব জন্মের শুরু হতেই রোগ নিরাময় স্বাভাবিকভাবেই ঘটে চলেছে। 

 পারমাথেরাপী রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে একটি প্রকৃত নিরাময় কলা (Art) ও বিজ্ঞান যা প্রাকৃতিক স্বাস্থ্যের সকল মৌলিক উপাদানকে সংশ্লিষ্ট করে কাজ করে। 

 পারমাথেরাপী পারমাকালচার অনুসৃত সকল প্রাকৃতিক স্বাস্থ্য ও সুস্থ্যতার নীতিমালাকে অনুমোদন দেয় ।

 পারমাথেরাপী আধুনিক নিরাপদ চিকিৎসা প্রযুক্তি এবং প্রাচীন রোগ নিরাময় সংক্রান্ত সকল আবিস্কারকে ব্যবহার করে।

সংক্ষিপ্তাকারে পারমাথেরাপী

পারমাথেরাপী একটি স্থায়ী রোগ নিরাময় পদ্ধতি, কৌশল ও সংস্কৃতি যা প্রাচীন দর্শন, আদি ও ঐতিহ্যগত জ্ঞান এবং সেই সাথে আধুনিক বৈজ্ঞানিক গবেষনার ফলাফল এবং প্রাকৃতিক চিকিৎসা বিজ্ঞানকে ব্যবহার করে। পারমারথেরাপী অন্য যে কোন চিকিৎসা ব্যবস্থা থেকে একধাপ এগিয়ে, কারণ এটি সকল ধরণের চিকিৎসা পদ্ধতি/ব্যবস্থার সাথে আধ্যাত্বিক চিকিৎসা পদ্ধতিকেও মিশ্রিত করে।

যে কোন পরামর্শের জন্য;

ড. নিম হাকিম, পিএইচডি।

পারমাকালচারিস্ট, পারমাথেরাপিস্ট, হারবালিস্ট ,নিমোলজিস্ট এন্ড ন্যাচারোপ্যাথিক কনসালটেন্ট

E-mail: Mahakim63@yahoo.com

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে