Dr. Neem on Daraz
Victory Day

তোয়াব খানের প্রথম জানাজা সম্পন্ন


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০২২, ১২:৪২ পিএম
তোয়াব খানের প্রথম জানাজা সম্পন্ন

জানাজা শেষে তোয়াব খানের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

ঢাকাঃ একুশে পদকপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান সাংবাদিক তোয়াব খানের প্রথম নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (৩ অক্টোবর) তার সর্বশেষ কর্মস্থল দৈনিক বাংলা ও নিউজবাংলার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় জানাজা। 

জানাজা শেষে তোয়াব খানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান দৈনিক বাংলার প্রকাশক চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শরিফুজ্জামান পিন্টু, নিউজবাংলার প্রকাশক শাহনুল হাসান খান, নির্বাহী সম্পাদক হাসান ইমাম রুবেল, আবদুল মোনেম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঈনউদ্দিন মোনেমসহ দৈনিক বাংলা ও নিউজবাংলার সংবাদকর্মীরা। তোয়াব খানের স্বজনরাও অংশ নেন জানাজায়।

সহকর্মীদের স্মৃতিচারণ, ফুলেল শ্রদ্ধা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের ভালোবাসা শেষে দৈনিক বাংলা কার্যালয় থেকে বিদায় নেন তোয়াব খান।

এর আগে মরহুমের সহকর্মী দৈনিক বাংলার নির্বাহী সম্পাদক শরিফুজ্জামান পিন্টু জানিয়েছেন, দৈনিক বাংলা ও নিউজবাংলার কার্যালয় থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হবে মরদেহ। সেখানে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ব্যবস্থাপনায় বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সবার শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মরদেহ রাখা হবে।

এরপর দুপুর ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেস ক্লাবে রাখা হবে তোয়াব খানের মরদেহ। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রেস ক্লাব থেকে মরদেহ নেওয়া হবে গুলশানে মরহুমের নিজ বাসভবনে। বাদ আছর গুলশান আজাদ মসজিদে জানাজা শেষে এই সাংবাদিককে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

এর আগে গত শনিবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮৭ বছর বয়সে মারা যান তোয়াব খান।

২০১৬ সালে একুশে পদক পাওয়া তোয়াব খানের সাংবাদিকতা জীবনের শুরু ১৯৫৩ সালে সাপ্তাহিক জনতার মাধ্যমে। ১৯৫৫ সালে যোগ দেন দৈনিক সংবাদে। ১৯৬১ সালে তিনি দৈনিক সংবাদের বার্তা সম্পাদক হন। এরপর ১৯৬৪ সালে যোগ দেন দৈনিক পাকিস্তানে। দেশ স্বাধীনের পর দৈনিক পাকিস্তান থেকে বদলে যাওয়া দৈনিক বাংলার প্রথম সম্পাদক ছিলেন তোয়াব খান। ১৯৭২ সালের ১৪ জানুয়ারি তিনি দৈনিক বাংলার সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিব ছিলেন। প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ও প্রেস ইনস্টিটিউট অফ বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে শব্দসৈনিকের ভূমিকা পালন করেন তোয়াব খান। সে সময় তার আকর্ষণীয় উপস্থাপনায় নিয়মিত প্রচারিত হয় ‘পিণ্ডির প্রলাপ’ নামের অনুষ্ঠান।
দৈনিক জনকণ্ঠের শুরু থেকে গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত পত্রিকাটির উপদেষ্টা সম্পাদক ছিলেন তিনি।

এরপর নতুন আঙ্গিক ও ব্যবস্থাপনায় প্রকাশিত দৈনিক বাংলার সম্পাদকের দায়িত্ব নেন তিনি।

সাংবাদিক তোয়াব খানের জন্ম ১৯৩৪ সালের ২৪ এপ্রিল সাতক্ষীরা জেলার রসুলপুর গ্রামে। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি তৎকালীন বিভিন্ন পত্রিকায় সমকালীন ইস্যু নিয়ে লেখালেখি করতেন।

এমবুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে