Dr. Neem on Daraz
Victory Day

স্ট্রিমকারে সুন্দরীদের ফাঁদ, কোটি কোটি টাকা পাচার


আগামী নিউজ | ‍নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: মে ২০, ২০২১, ০৯:৫৯ এএম
স্ট্রিমকারে সুন্দরীদের ফাঁদ, কোটি কোটি টাকা পাচার

ঢাকাঃ অর্থপাচারের কৌশল হিসেবে ডিজিটাল কারেন্সির মাধ্যমে ব্যবহার করা হচ্ছে স্ট্রিমকার নামে একটি বিশেষ অ্যাপ। বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া সুন্দরী তরুণীদের লাইভে এনে মানুষকে আকৃষ্ট করে পাতা হচ্ছে ফাঁদ। অনেকে ওই তরুণীদের খুশি করতে টাকা দিয়ে অনলাইন কারেন্সি কিনে তা উপহার দেন। তরুণীদের দিয়ে পাতা এই ফাঁদের মাধ্যমে স্ট্রিমকার অ্যাডমিনরা হাতিয়ে নেন কোটি কোটি টাকা। পরে তা পাচার করা হয় বিভিন্ন দেশে। এভাবে চক্রটি বিভিন্ন ব্যাংক, ক্রিপ্টো কারেন্সি ও হুন্ডির মাধ্যমে শতকোটি টাকা পাচার করেছে বলে দাবি পুলিশের।

গত মঙ্গলবার নোয়াখালী জেলার সুধারামপুর, ঢাকা জেলার সাভার ও বনশ্রী এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতারের পর এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশের অ্যান্টিটেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। গ্রেফতারকৃতরা হলো জমির উদ্দিন, কামরুল হোসেন ওরফে রুবেল, মনজুরুল ইসলাম হৃদয় ও অনামিকা সরকার।

গতকাল বুধবার রাজধানীর বারিধারায় এটিইউ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মাহিদুজ্জামান বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের একটি বিশেষ অ্যাপ স্ট্রিমকার। বাংলাদেশে এই অ্যাপ সরকারিভাবে নিষিদ্ধ হলেও ভার্র্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্কে মাধ্যমে এগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে। এই অ্যাপের মাধ্যমে মূলত চ্যাটিং করা হয়ে থাকে। এ ছাড়া অন্যান্য অপশনের মধ্যে জুয়াও রয়েছে। ব্যবহারকারীরা সাধারণত সুন্দরী মেয়ে ও সেলিব্রেটিদের জন্য আড্ডা দেয়ার জন্য এই অ্যাপটি ব্যবহার করে। এতে ইউজার আইডি ও হোস্ট আইডি নামে দুই ধরনের আইডি রয়েছে। হোস্টরা একটি হোস্ট এজেন্সির মাধ্যমে এই অ্যাপে হোস্টিং করে। সুন্দরী মেয়ে ও সেলিব্রেটিরাই সাধারণত এই এজেন্সির মাধ্যমে হোস্ট আইডি খোলে। এতে বিন্স এজেন্সি ও হোস্ট এজেন্সি নামে দুই ধরনের এজেন্সিও রয়েছে। বিন্স এজেন্সিসমূহ বিদেশী এই অ্যাপটির অ্যাডমিনদের কাছ থেকে বিন্স ক্রয় করে ব্যবহারকারীদের কাছে বিক্রয় করে। এই অ্যাপের ব্যবহারকারীরা বিন্স ও হোস্টদের সাথে লাইভ স্ট্রিমিংয়ে আড্ডা দেয়ার জন্য গিফট হিসেবে টাকা দিয়ে ডিজিটাল কারেন্সি ক্রয় করে।

এখানেও বিন্স ও জেমস নামে দুই ধরনের ডিজিটাল কারেন্সি রয়েছে। প্রতি এক লাখ বিন্সের মূল্য এক হাজার ৮০ টাকা এবং প্রতি এক লাখ জেমসের মূল্য ৬০০ টাকা। কিন্তু এক বিন্স সমান এক জেমস। ব্যবহারকারীরা হোস্টদেরকে গিফট হিসেবে বিন্স দিলেও ওই বিন্স হোস্টদের কাছে এলেই তা জেমসে পরিণত হয়। সঞ্চিত জেমসের পরিমাণের উপরই নির্ভর করে হোস্টদের ইনকাম। তবে হোস্টদেরকে মাস শেষে বেতন পাওয়ার জন্য শুধু সঞ্চিত জেমসই যথেষ্ট নয়। তাকে প্রতিদিন এবং প্রতিমাসে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য লাইভ স্ট্রিমিংয়ে থাকতে হয়। তবে লাইভে থাকার জন্য সুন্দরী মেয়েদের প্রতি মাসে দেয়া হয় নির্দিষ্ট পরিমাণ বেতন।

এটিইউর এসপি মোহাম্মদ আসলাম খান বলেন, বাংলাদেশে এ ধরনের ১২ থেকে ১৫ জন এজেন্ট রয়েছে যারা প্রতি মাসে কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। দেশের সরকারি, বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক বেশ কয়েকটি ব্যাংকের মাধ্যমে দেশের বাইরে অর্থ পাচার হওয়ার তথ্য তাদের কাছে রয়েছে।

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে