Dr. Neem on Daraz
Victory Day

বাঙ্গি চাষে দ্বিগুণ লাভ


আগামী নিউজ | কুমিল্লা প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ১৮, ২০২০, ১০:০৭ এএম
বাঙ্গি চাষে দ্বিগুণ লাভ

কুমিল্লা : চলিত মৌসুমে ৫শত একর জমিতে বাঙ্গি চাষ করা হয়েছে কুমিল্লায়। এর মধ্যে দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ ইউনিয়নের টামটা গ্রামে সবচেয়ে বেশি বাঙ্গি চাষ হয়েছে।

ঢাকা- চট্রগ্রাম মহাসড়কের কোল ঘেঁষা দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ ইউনিয়নে কম-বেশি সবাই বাঙ্গি চাষের সঙ্গে জড়িত। এখানে দিন দিন বাঙ্গি বা ফুটি চাষ এতটা জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে যে, এখন এ গাঁয়ে আর একটিও পরিবার খুঁজে পাওয়া যাবে না যারা অন্তত বাঙ্গি চাষ করে না।

ইলিয়টগঞ্জ গ্রামটি ছোট হলেও বির্স্তীণ জমি রয়েছে এ গ্রামে । মাঠের পর মাঠ জুড়ে বাঙ্গির চাষ করা হয়েছে। এলাকাবাসীর মতে প্রতি মৌসুমে প্রায় ৬ লাখ বাঙ্গি ফলে বলে ধারনা করা হয়।

জানা গেছে, শতাতিনেক বছর আগে এ বাঙ্গির বীজ এসেছিল সুদূর চীন থেকে। সেই থেকে আজও এখানে বাঙ্গির চাষ হচ্ছে। এটি এক ধরনের ফুটি। এ বীজ চীন থেকে এসেছিল বলে এখানকার অধিবাসীরা একে চীনাল আবার কেউ কেউ চীনা বাঙ্গিও বলে থাকে। এর প্রকৃত মৌসুম মার্চ-মে বেলে-দোঁআশ মাটিতে বাঙ্গি বেশ ভাল ফলে। খুব অল্প সময়ের মৌসুমী ফল এটি। মৌসুমটা আসতে না আসতেই যেন চলে যায়। সময় স্বল্বতার কারণে কৃষকের ব্যস্ততাও অনেক। বছরে একবারই ফলে এ ফল। ডিসেম্বরের শুরুতেই এ চারা রোপণ শুরু হয়। চলে ডিসেম্বরের শেষ পর্যন্ত। টানা তিন মাস ধরে কৃষকের সংগ্রাম অব্যাহত থাকে। 

স্থানীয় চাষি খলিল মিয়া পাঁচ বিঘা জমিতে এবার বাঙ্গি চাষ করেছেন। জমি তৈরি বীজ ও সার ক্রয়, চাষাবাদ খরচ সব মিলিয়ে তার ব্যয় হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে জমির অর্ধেকের বেশি বাঙ্গি বিক্রি হয়ে গেছে। এ বাবদ মোট পেয়েছেন ৮০ হাজার টাকা। যে ধরনের ফলন হয়েছে তাতে আরো ২০ হাজার টাকা তার হাতে আসার কথা। 

এ প্রসঙ্গে জেলা কৃষি সম্প্রারণ অধিদফতর উপ-পরিচালক সুরজিত চন্দ্র দত্ত বলেন, বাঙ্গির রয়েছে ওষুধি গুণ। বাঙ্গি শরীরের জ্বালা -পোড়া কমিয়ে দেয়, গরম শরীর ঠান্ডা রাখতে বাঙ্গির জুড়ি নেই। এছাড়া বাঙ্গি থেকে সুগন্ধী তৈরি করা হয়। কৃষি অফিসের সহযোগিয় এ এলাকার প্রায় ৫শ একর জমিতে বাঙ্গি চাষ হয়েছে এ মৌসুমে।

আগামীনিউজ/মিজান 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে