ইয়াসমিন হত্যার কলঙ্কময় দিন আজ
                        
                        
                            
                                 আগামী নিউজ | দিপংকর রায়, দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি                                 প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২১,  ১১:৩৫ এএম                            
                            
                            
                        
                        
                        
                                                    
                            ছবি: সংগৃহীত
                                                
                            
                            
                            
                            
                        
                        দিনাজপুরঃ আজ ২৪ আগষ্ট ১৯৯৫ সালের এই দিনে দিনাজপুরে পুলিশ হেফাজতে ইতিহাসের  ন্যাক্কারজনক ধর্ষন ও হত্যার শিকার হয়ে প্রাণ হারায় ১৪ বছরের কিশোরী ইয়াসমিন। 
পরে ইয়াসমিন হত্যা মামলায় ৩ পুলিশ সদস্য দোষী সাব্যস্ত ও ফাঁসি কার্যকর হলে। রচিত হয় উপমহাদেশের ইতিহাসে দোষী পুলিশদের ফাঁসিতে মৃত্যু কার্যকরের ঘটনা এটাই প্রথম।
 
ইয়াসমিনের স্মরণে দিনাজপুরের দশ মাইলে তৈরী হয়েছে ইয়াসমিন স্মরণী।
 
১৯৯৫ সালের ২৪ আগস্ট। দিনাজপুরের দশ মাইল নামক মোড়ে। ভোর ৪টার সময় বাড়িতে ফিরতে অপেক্ষামান তরুণী ইয়াসমিন। ফজরের নামাজ পড়তে বের হওয়া স্থানীয় মুসল্লিরা তরুনীকে নিরাপদে পৌঁছে দিতে টহলরত কোতয়ালী পুলিশকে অনুরোধ করলে।তরুনী ইয়াসমিনকে নিরাপদে যেতে তুলে নেয় পুলিশ ভ্যানে। 
 
কাক ডাকা ভোরে হাজারো স্বপ্ন আর বাড়িতে ফেরার আনন্দে। পুলিশ ভ্যানে দিনাজপুর শহরে ফেরার পথে দায়িত্বরত নরপিশাচ তিন পুলিশ সদস্য এসআই মইনুল, কনেস্টবল অমৃত ও সাত্তারের লালসার শিকার হয়ে কিশোরী ইয়াসমিনকে শ্লীলতাহানী ও ধর্ষন করে চলন্ত পিকআপ ভ্যান থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হয়। ইয়াসমিনকে বিদায় নিতে হয় স্বপ্নময় সুন্দর এই পৃথিবী থেকে।
 
এ ঘটনায় পুরো দিনাজপুর ফুসে উঠে নানা শ্রেণি পেশার মানুষসহ আপামর জনসাধারন। পুলিশি হেফাজতে তরুনী ইয়াসমিনের ধর্ষন ও হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নিহত হন সামু, সিরাজ ও কাদের নামের আরও তিনটি তাজা প্রান ও আহত শতাধিক।
 
আরও বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে জনতা উত্তাল হয়ে যায়  দিনাজপুর। বিক্ষুদ্ধ জনতা কোতয়ালী থানাসহ ৩টি পুলিশ ফাঁড়ি, কাস্টমস গোডাউন, ৪টি পত্রিকা অফিসসহ বেশ কিছু স্থাপনা ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে জ্বালিয়ে দেয়।
 
এভাবেই সর্বস্তরের প্রতিবাদ আর প্রতিরোধে রচিত হয়েছিল কলঙ্গময় কিশোরী ইয়াসমিন হত্যা দিবস।