নগরকান্দায় ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ধর্ষনের অভিযোগে আটক ১
                        
                        
                            
                                 আগামী নিউজ | সুমন ইসলাম, ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি                                 প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২১,  ০৬:১৯ পিএম                            
                            
                            
                        
                        
                        
                                                    
                            ছবিঃ আগামী নিউজ
                                                
                            
                            
                            
                            
                        
                        ফরিদপুরঃ জেলার নগরকান্দায় ৫ম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী ধর্ষনের স্বীকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার পৈলানপুটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে কামাল ফকির (৩২) নামে এক ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। আরেক ধর্ষক জামাল মুন্সী (৪৫) পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
 
জানাগেছে উপজেলার চরযোশরদী ইউনিয়নের পৈলানপুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ১১ বছর বয়সী শিশুটি বুধবার বাড়ীর পাশে মুকসুদপুর উপজেলার কানার বাজারে যায় মোবাইলের কার্ড কিনতে। কার্ড কিনে ফেরার সময়  মুকসুদপুর উপজেলার মুন্সী নারানপুর গ্রামের রওশন মুন্সীর পুত্র জামাল মুন্সী ও নগরকান্দা উপজেলার পৈলানপুটি গ্রামের কাশেম ফকিরের ছেলে কামাল ফকির (৩৫) শিশুটিকে বাজারের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। বৃহস্পতিবার বিকালে ধর্ষক কামাল ফকিরকে নগরকান্দা থানার পৈলানপুটি গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়।
 
শিশুটির মা বলেন, আমার মেয়েকে একা পেয়ে ওরা ধর্ষন করেছে। এসময় মেয়ের গলায় ছোরা ধরে বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেয়। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে মেয়েটি আমাদের বিষয়টি খুলে বলে। আমাদের লোকজন কামালকে আটক করে জিজ্ঞাসা করলে কামাল সব স্বীকার করে। পরে থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ ওকে থানায় নিয়ে যায়। 
 
নগরকান্দা থানার এসআই আবুল কালাম বলেন, শিশু ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে আটকে রাখার খবর পেয়ে, পৈলানপুট্টি গ্রাম থেকে কামাল মুন্সি নামের এক যুবককে গ্রেফতার করে থানায় আনা হয়েছে। যেহেতু ঘটনাস্থল মুকসুদপুর উপজেলার মধ্যে, তাই মামলাটি কোন থানায় হবে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।