রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি: ৮ বছরেও কান্না থামেনি ছেলেহারা মায়ের
                        
                        
                            
                                 আগামী নিউজ | শামীম সরদার, সাদুল্লাপুর(গাইবান্ধা) প্রতিনিধি                                 প্রকাশিত: এপ্রিল ২৪, ২০২১,  ১২:৪২ পিএম                            
                            
                            
                        
                        
                        
                                                    
                            ছবিঃ আগামী নিউজ
                                                
                            
                            
                            
                            
                        
                        গাইবান্ধাঃ রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির আট বছর পূর্ণ হলো আজ। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারে ধসে পড়েছিল নয় তলা ভবন রানা প্লাজা।
 
এ ঘটনায় সহস্রাধিক মানুষ নিহত হয়েছিলেন। এর মধ্যে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ইউনুছ আলী (২২) নামের এক পোশাক শ্রমিক নিহত হয়। এ ঘটনার ৮ বছর অতিবাহিত হলেও, আজও কান্না থামেনি ছেলে হারা মা মরিয়ম বেগমের। 
 
শনিবার (২৪ এপ্রিল) সাদুল্লাপুর উপজেলার দামোদরপুর গ্রামের ইউনুছ আলীর কবরের পাশে দাঁড়িয়ে কাঁদছিলেন মা মরিয়ম বেগম। যেনো ছেলে হারা শোকে বাকরুদ্ধ অবস্থা তার।
 
জানা যায়, রাজধানী ঢাকার সাভারের রানা প্লাজা ভবনের সপ্তম তলায় পোশাক শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন ইউনুছ আলী। ঘটনার দিন ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল যথানিয়মে কাজে গিয়েছিলেন। সেটাই যে তার কাজের শেষ দিন নিজেরও হয়তো জানা ছিল না। রানা প্লাজা ধসের ১১ দিন পর ইউনুছের মরদেহ খুঁজে পায় স্বজনরা । এরপর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় তার মরদেহ।
 
কান্নাজড়িত কন্ঠে মরিয়ম বেগম  জানান, সংসারের অভাব দূর করতে রানা প্লাজার পোশাক কারখানার সপ্তম তলায় আয়রণম্যানের চাকরি নিয়েছিলেন ছেলে ইউনুছ আলী। রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় তাকে লাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে বাড়িতে। ছেলের স্মৃতি সবসময় খুঁজে বেড়ান তিনি। এভাবে যেন আর কারও সন্তান অকালে প্রাণ না হারায় সেটাই কামনা করেন তিনি। 
 
দামোদরপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান এজেডএম সাজেদুল ইসলাম স্বাধীন জানান, রানা প্লাজা ভবন ধসের ঘটনায় এ এলাকায় প্রায় ২০ জন শ্রমিক হতাহত হয়েছে। তাদের জন্য দোয়া করেন তিনি।
 
আগামীনিউজ/এএস