হাতিয়ায় আ.লীগ ও চৌমুহনীতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর জয়
                        
                        
                            
                                 আগামী নিউজ | মুজাহিদুল ইসলাম সোহেল, নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি                                 প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০২১,  ১১:১৩ এএম                            
                            
                            
                        
                        
                        
                                                    
                            সংগৃহীত
                                                
                            
                            
                            
                            
                        
                        
নোয়াখালীঃ ৩য় দফা পৌরসভা নির্বাচনে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভায় ১৩৪১৮ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন স্থানীয় সাংসদ মামুনুর রশিদ কিরনের বড় ভাই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) মোবাইল প্রতীকের প্রার্থী খালেদ সাইফুল্লাহ।
 
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আ.লীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আক্তার হোসেন ফয়সল পেয়েছেন ১০৯৩৬ ও ধানের শীর্ষের প্রার্থী জহির উদ্দিন হারুন পেয়েছেন ৫৮৩১ভোট। অপরদিকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়া পৌরসভায় ১৬৯৯৮ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আ.লীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কে এম ওবায়দুল্লাহ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী কাজী আব্দুর রহিম পেয়েছেন ২৮৫৫ভোট। 
 
শনিবার রাত ৮টায় নির্বাচনের ফলাফলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং কর্মকর্তা মো. রবিউল আলম।
 
এর আগে শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। চৌমুহনী সরকারি এস এ কলেজ, বেগমগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, দক্ষিণ নাজিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাজীপুর নবদিগন্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রেরের বাহিরে কয়েকটি ককটেলের বিষ্ফোরণ ঘটে।
 
এছাড়াও চৌমুহনী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্র থেকে জাল ভোট দিতে আসলে মামুন নামের এক যুবককে আটক করে দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ। বিচ্ছিন্ন এ কয়েকটি ঘটনা ছাড়া পৌরসভার ২০টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিকে হাতিয়ার ১৩টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোন কেন্দ্রে কোন প্রকার সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি।
 
প্রসঙ্গত, চৌমুহনী পৌরসভা মেয়র পদে ৪ জন, ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ৩৬ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান মেয়র আক্তার হোসেন ফয়সল, বিএনপির মনোনীত ধানেরশীষ প্রার্থী ও পৌর বিএনপির সভাপতি জহির উদ্দিন হারুন, স্বতন্ত্র মোবাইল প্রার্থী মামুনুর রশিদ কিরন এমপির বড় ভাই খালেদ সাইফুল্লাহ্ (এম.কম) ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন মনোনীত হাত পাখা প্রতীকের প্রার্থী মো. জাকের হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পৌরসভাটিতে ২০টি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৫৪ হাজার ২৫৪ জন, যার মধ্যে পুরুষ ২৮ হাজার ৫১৩ ও মহিলা ২৫ হাজার ৭৪১ জন। 
 
অন্যদিকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়া পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ১৩টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। পৌরসভাটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৩২হাজার ৩৯৮জন। যার মধ্যে মহিলা ১৫হাজার ৬৪৫জন ও ১৬হাজার ৭৫৩জন পুরুষ ভোটার। মেয়র পদে আ.লীগ মনোনিত নৌকা প্রতীক নিয়ে কে এম ওবায়দুল্লাহ ও বিএনপি মনোনিত ধানেরশীষ প্রতীকে কাজী আব্দুর রহিম, সাধারন কাউন্সিলর পদে ৪০ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৮জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন।
 
আগামীনিউজ/এএস