কাদের মির্জার নেতৃত্বে ব্যবসায়ীকে হাতুড়ি পেটার অভিযোগ
                        
                        
                            
                                 আগামী নিউজ | মুজাহিদুল ইসলাম সোহেল, নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি                                 প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২১,  ১১:৫৯ এএম                            
                            
                            
                        
                        
                        
                                                    
                            ছবিঃ সংগৃহীত
                                                
                            
                            
                            
                            
                        
                        নোয়াখালীঃ বাংলাদেশ আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে রাতে আকস্মিকভাবে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে মালিককে হাতুড়ি পেটা, ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে ।  
শনিবার রাত ৯টার দিকে বসুরহাট বাজারের আজমেরী হোটেলে এ ঘটনা ঘটে।  এ ঘটনায় ওই হোটেলের মালিকসহ অন্তত ৪জন আহত হয়েছে।  
আহতদের মধ্যে হোটেলের মালিকের অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতরা হল, মো.জসিম উদ্দিন, আবু সায়ীদ, আল আমিন, কামাল।  
 
আজমেরী হোটেলের মালিকের ছোট ভাই গিয়াস উদ্দিন সজীব গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, তাদের পরিবার বসুরহাট বাজারের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী পরিবার।  তাদের পরিবার এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে।  
সজিব জানান, শনিবার রাত ৮টায় কাদের মির্জার আপন ভাগনে ফখরুল ইসলাম রাহাতের নেতৃত্বে আজমেরী হোটেলের দ্বিতীয় তলায় বসে নাশতা করে।  কাদের মির্জা তার বিরোধীদের আজমেরী হোটেলে নাশতা খাওয়া ও আড্ডা দেওয়ার খবর পেয়ে বেজায় ক্ষিপ্ত হন। এরপর হোটেলের বর্ধিত অংশ ভাঙ্গার অজুহাত তুলে কাদের মির্জা দলবল নিয়ে হোটেলে এসে মালিকের সাথে প্রথমে খারাপ ব্যবহার  করে। এক পর্যায়ে মির্জা নিজে প্রথমে হোটেল মালিককে মারধর করে এরপর তার সাথে থাকা সাঙ্গপাঙ্গরা হোটেলে মালিককে মুখে, মাথায়, বুকে হাতুড়ি পেটা করে।
 
এ সময় হোটেলের ক্যাশিয়ার- কর্মচারীরা তাদেরকে মালিককে বাঁচাতে এলে বেধড়ক পেটিয়ে তাদেরকেও আহত করা হয়। হামলাকারীরা প্রথমে হোটেলের সিসি ক্যামেরা, তারপর চেয়ার, টেবিল, ক্যাশ, ফ্রিজ, শোকেছ ভাংচুর করে এবং ক্যাশে থাকা নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে যায়। একই সময়ে মেয়র হোটেলের মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ঘোষণা করে, রোববার সকালের মধ্যে ব্যাংকে জমা দেয়ার নির্দেশনা দেয়।
 
মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, হোটেলে হামলা  ভাংচুর ও মালিককে হাতুড়ি পেটার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটা পৌরসভার রুটিন ওয়ার্ক। ১০ দিন আগে হোটেলের বর্ধিতাংশ ভাঙতে বলা হয়েছিল। কিন্তু হোটেল মালিক নির্দেশ না মানায় পৌরসভার পক্ষ থেকে তা ভাঙা হয়েছে।  
ভাগনে ফখরুল ইসলাম রাহাত আগামী নিউজকে বলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের নেতাকর্মীরা রোববারের হেফাজত ইসলামের ডাকা হরতাল কর্মসূচি মোকাবেলায় জরুরি বৈঠক করে। বৈঠক শেষে প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী আজমেরী হোটলে নাস্তা করে।  এ খবর পেয়ে কাদের মির্জা প্রথমে হোটেলের নিচে অবস্থান নেয়।   পরে তার অনুসারীদের নিয়ে হোটেলে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের শাস্তি দাবি করছি।    
 
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি আগামী নিউজকে জানান, বসুরহাট বাজরের আজমেরী হামলা ভাংচুরের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 
আগামীনিউজ/এএস