Dr. Neem on Daraz
Victory Day

অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎ করেও স্বপদে বহাল পবিপ্রবি‍‍`র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শরীফ


আগামী নিউজ | সাব্বির হোসেন, পবিপ্রবি প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২৩, ০১:২৭ পিএম
অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎ করেও স্বপদে বহাল পবিপ্রবি‍‍`র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শরীফ

পটুয়াখালীঃ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত আছেন অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতকারী ইউনুস শরীফ নামে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় জেল খাটা এক আসামি।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৯ এর ৯ সেপ্টেম্বর ৫৩ লাখ ৫০ হাজার ৩৯০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় পবিপ্রবি'র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ইউনুস শরীফকে। দুদকের তথ্য অনুযায়ী, তিনি ছয়টি প্রকল্পের দরপত্র নিয়ে জালিয়াতি, প্রতারণা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ২০১৬ সালের ২১ জুন থেকে ২০১৭ সালের ৩০ জুনের মধ্যে এ টাকা আত্মসাৎ করেন। জেলহাজতে থাকায় পবিপ্রবি কর্মচারীর সাধারণ আচরণ ও শৃঙ্খলা বিধির ৯(৪) ধারা অনুযায়ী ২৩ সেপ্টেম্বর তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে পবিপ্রবি প্রশাসন। অভিযোগ রয়েছে পরবর্তীতে বিপুল অর্থের বিনিময়ে রিজেন্ট বোর্ড মেম্বারদের কয়েকজন সদস্যকে হাত করে স্বপদে ফিরে আসেন। ফিরে আসার পর প্রধান তত্বাবধায়কের দায়িত্ব পেয়ে দুর্নীতিতে মেতে ওঠেন আরো জোড়ালো ভাবে। এদিকে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার অধীনে চলমান অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের ৪৫০ কোটি টাকার কাজের যথাযথ মান নিয়ে চিন্তিত বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ।

এসব বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ইউনুস শরীফের কাছে জানতে চাইলে বিভিন্ন ব্যক্তির ষড়যন্ত্রের শিকার উল্লেখ করে বলেন , ‘বর্তমান উপাচার্য আমাকে সম্মানিত করেছে। কোনো রাস্তায় যেতে হবে, কিভাবে সবকিছু ম্যানেজ করতে হবে তা আমার জানা আছে। এই ফিল্ডে আমার চার-ছয় পেটানোর অভ্যাস আছে।’

এবিষয়ে দুদকের পটুয়াখালী জেলার উপ-পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের তদন্ত প্রতিবেদন ১৫ দিনের মধ্যে দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু আজও আমার কাছে প্রতিবেদন আসেনি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড.সন্তোষ কুমার বসুকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "ইউনূস শরীফের দূর্নীতির বিষয়ে আমি ফোনে কোনো কথা বলবো না।’

এ ব্যাপারে পবিপ্রবি'র ভিসি প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত বলেন, দুর্নীতির অভিযোগে ইঞ্জিনিয়ার ইউনূস শরীফ গ্রেফতারের পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটা তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট রিজেন্ট বোর্ডে উপস্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু সে অবস্থায় আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান থাকায় তাকে শাস্তির আওতায় আনা যায়নি।’

বুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে