ছবি: সংগৃহীত
প্রযুক্তির ছোঁয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক,হোয়াটসঅ্যাপ,ইমু বেশ জনপ্রিয়।এই জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম গুলো এখন অসামাজিক কাজের রঙ্গমহল।কথিত লাস্যময়ীদের দিয়ে রমরমা ইনকল আউট কল স্কর্ট সার্ভিসের প্রকাশ্যেই চলছে অনলাইন মার্কেটিং হাতিয়ে নিচ্ছে অর্থ ডিজিটাল প্রতারণায়।
ডিজিটাল অনলাইন প্রযুক্তির যুগে যখন হাজার কোটি টাকার ব্যবসা চলছে।বিকিকিনি হচ্ছে গৃহস্থলি থেকে অভিজাত পন্য।পিছিয়ে নেই অসামাজিক কার্যকলাপের কথিত লাস্যময়ীদের রঙ্গমহলের ঝলমলে আলোও। তাদের ডে/নাইট রংমহলের বিভিন্ন লাস্যময়ীর মুখলুকানো অশ্লীল ছবি ব্যবহার করে স্কর্ট সার্ভিস এজেন্সি কিংবা নিজেই অনলাইন মার্কেটিংয়ে অনেকটা ওপেন সিক্রেট ভাবেই।
সত্যিই হোক আর প্রতারণাই জমজমাট ভাবেই চলছে অসামাজিক কাজের প্রচারণা।এক্ষেত্রে বেছে নিয়েছে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোকে(ফেসবুক,হোয়াইটস আপ,ইমু)।
এডাল্ট এন্টারটেইনমেন্ট সার্ভিস,সিক্রেট সার্ভিস জোন,সিক্রেট রিয়েল সার্ভিস,এঞ্জেল মডেল এজেন্সি,রুপা মনি, জয়ন্তী ইত্যাদি নামে সিক্রেট গ্রুপ খুলে চালাচ্ছে অসামাজিক আর স্কর্ট সার্ভিসের অনলাইন পরিসেবা।
সার্ভিস নিতে চাইলে কিছু নিয়ম অনুসরন করতে হবে।নিয়ম গুলো নিরাপত্তা জন্য করা ভালো না লাগলে এড়িয়ে যান।এজেন্সির সার্ভিস নিতে হলে, এজেন্সির মেম্বার হতে হবে বাধ্যতামূলক।
প্রথমেই সার্ভিস নিতে ইচ্ছে প্রকাশ করলেই বিকাশ পেমেন্টে গুনতে হবে মেম্বারশিপ ফি বাবদ ২ হাজার টাকা।মেম্বারশিপের টাকা না দিলে আপনি কোন তথ্য এমন কি কোন লাস্যময়ীর ছবিও দেখতে পাবেন না।শুধুমাত্র মেম্বারশিপের অর্থ পেলেই পেয়ে যাবেন লাস্যময়ীদের ছবি আর যাকে পছন্দ করবেন আপনাকে প্রাপ্য সার্ভিস দ্রুত বুঝে দিবেন তারা। আর ঢাকা সিটিতে সার্ভিস বুঝে নিতে গেলে গুনতে অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ।পছন্দের লাস্যময়ীর ১ ঘন্টায় একবার সঙ্গ পেতে হােম সার্ভিস/আউট কল ১০ হাজার টাকা এবং নাইট ইন কল বা তাদের প্লেসে সময় কাটাতে ঘন্টায় ১৫ হাজার আর থ্রি স্টার হােটেল হলে ২০ হাজার টাকা মাত্র। ব্যবসা যেটাই হোক তার প্রতি সম্মান ও সৎ ভাবে কাজ করলে কাস্টমারের অভাব নেই, অনেক বেশী সন্তুষ্ট নাহলে কেউ নিজ থেকে রিভিউ দেয়না, আবির এজেন্সি কাজে বিশ্বাসি।
gulsan ★, Road ★★, house ★★/★।
আমি একজন রিয়াল .... সার্ভিস প্রোভাইডার আমি যদি আমাকে ব্যাখ্যা করে বলি তাহলে আমি যেটা করছি সেটা অসামাজিক কাজ। কিন্তু অসামাজিক হলেও সেটা আমি সততার সহিত করি।বিশ্বাস না হলে চলে আসুন আমাদের প্লেসে। প্লেস বনানী ★★ রোড ★★ সম্পুর্ন নিরাপদ, এখনই 017********।
প্রোভাইডারদের দাবি লাস্যময়ীরা আর্টিস্ট প্রফেশনাল নয়, তাদের ভালোলাগা থেকেই স্কর্ট সার্ভিসের সাথে জড়িত। আপনারা যেহেতু সম্মানিত ব্যাক্তি বর্গ সেই কথা চিন্তাই রেখে কোয়ালিটি মেইনটেইন করে সা,র্ভিস প্রোভাইড করছি।গ্রুপের পােস্ট এ পিক দেওয়া আছে । পােস্টকৃত সকল পিক শতভাগ রিয়েল । আমাদের পরিসেবা ১০০ % নিরাপদ । ঠকবাজ , প্রতারক মুক্ত সেবা প্রদানের ব্রত নিয়ে ৮ বছরের অধিক হলাে আমরা এ সেবা প্রদান করে আসছি ।
প্রতিবেদনের স্বার্থে এক প্রোভাইডারের সাথে হোয়াইটস অ্যাপে যোগাযোগ করলে মেম্বারশি পের টাকা দিলে তারপর ১০০% রিয়েল ছবি পাঠাবেন। বিশ্বাসের কথা বলতেই ঢাকাস্থ অভিজাত এলাকার ঠিকানা আর মোবাইল নং দিয়ে প্লেসে গিয়ে লাস্যময়ী সরাসরি পছন্দ করে সার্ভিস নেওয়ার কথা বলে শেষ করেন। মেসেঞ্জারে কয়েক জনের মধ্যে রাউরিন (ছদ্দনাম) নামের এক জনের সাথে যোগাযোগ করলে ফেস ছাড়া ১৫শ আর ফেস ৩ হাজার বিকাশ করুন পরে কথা হবে আর শরীরের মাপ দিয়ে কথা শেষ। আর এভাবেই চলছে ডিজিটাল অনলাইন প্রতারণা।