Dr. Neem on Daraz
Victory Day

‘মোটরসাইকেল হারালে মামলার কপি নিয়ে ডিবি অফিসে আসুন’


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: মে ২৫, ২০২৩, ০৩:২৬ পিএম
‘মোটরসাইকেল হারালে মামলার কপি নিয়ে ডিবি অফিসে আসুন’

ঢাকাঃ ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, মোটরসাইকেল চুরি হলে অনেকেই সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। মোটরসাইকেল হারানোর পর মামলা করে কপি নিয়ে ডিবি অফিসে আসতে অনুরোধ করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে মোটরসাইকেল চুরি-সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, অনেক থানার ওসি মনে করেন, চুরির মামলা নিলে খুঁজে কষ্ট করতে হবে। এ কারণে অনেকে মামলা নিতে চান না। তবে আবার অনেকে (ওসি) কষ্টও করেছেন। আবার মোটরসাইকেল চুরি হলে অনেকে মামলা করতে চান না। তাই আমি বলব- মোটরসাইকেল চুরি হলে জিডি না করে মামলা করতে। থানা মামলা নিতে না চাইলে গোয়েন্দা কার্যালয়ে এলে আমরা অভিযোগ নেব।

বুধবার (২৪ মে) হবিগঞ্জের লোকরা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয় মো. জাকারিয়া হোসেন হৃদয় নামে মোটরসাইকেল চোর চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ। একই সঙ্গে ১২টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশ। 

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, ১০ মে যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে থেকে একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। এ ঘটনায় ২৩ মে মালিকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভাটারা থানায় একটি মামলা হয়। মামলাটির ছায়া তদন্ত করতে গিয়ে গোয়েন্দা-গুলশান বিভাগ তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে একটি সংঘবদ্ধ মোটরসাইকেল চোর চক্রের সন্ধান পায়। সেই সূত্র ধরে বুধবার হবিগঞ্জের লোকরা বাজারের ‘বন্ধু মটরস’ গ্যারেজ থেকে ১২টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ হৃদয় নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়।

উদ্ধার হওয়া ১২টি মোটরসাইকেলের তথ্য
গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, এই চক্রটি কয়েকটি ধাপে মোটরসাইকেল চুরি ও বিক্রির কাজটি সম্পন্ন করে থাকে। চক্রের একজন সদস্য স্পটে থাকে। সে মোটরসাইকেল মালিকের গতিবিধি লক্ষ্য করে। অন্য সদস্যরা মোটরসাইকেলটি কিছু সময় পর্যবেক্ষণ করে মাত্র ২৫-৩০ সেকেন্ডের মধ্যে সাথে থাকা মাস্টার চাবি দিয়ে লক ভেঙে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে চোরাই মোটরসাইকেলটি কয়েকটি হাত বদল হয়। এভাবে হবিগঞ্জের লাখাই রোডের বন্ধু মটরস গ্যারেজ পর্যন্ত পৌঁছায়। সেখানে কিছু যন্ত্রপাতি পরিবর্তন, চ্যাসিস ও ইঞ্জিন নম্বর পাঞ্চ করে আবার বিক্রি করা হয়। 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার হৃদয়ের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা, গাজীপুর, নরসিংদী, নাসিরনগর, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতি সপ্তাহে ২/৩টি মোটরসাইকেল চুরি করে। এরপর সেগুলো ‘বন্ধু মটরস’ গ্যারেজের মালিকের মাধ্যমে বিক্রি করে আসছে।

বুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে