Dr. Neem on Daraz
Victory Day

তরুণীর লাশ উদ্ধার: আনভীর এখন কোথায়?


আগামী নিউজ প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০২১, ০৩:১৮ পিএম
তরুণীর লাশ উদ্ধার: আনভীর এখন কোথায়?

ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকাঃ রাজধানীর গুলশান থেকে মোসারাত জাহানের (মুনিয়া) তরুণীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আত্মহত্যার প্ররোচনায় এ মৃত্যু ঘটনা ঘটতে পারে। ওই তরুণীর সঙ্গে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের সর্ম্পক ছিল বলে জানা যায়। মুনিয়ার মৃত্যুর পেছনে আনভীরের হাত রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। তবে এখন প্রশ্ন দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি এখন কোথায়?

সোমবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর গুলশান ২ নম্বরের ১২০ নম্বর সড়কের বাসা (ফ্ল্যাট-বি-৩) থেকে মোসারাত জাহানের (মুনিয়া) লাশ উদ্ধার করা হয়। মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডিকে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি দেশ বা বিদেশে সে বিষয়েও কেউ সঠিকভাবে অবগত নয়।

লাশ উদ্ধারের পর সোমবার রাতে গুলশান থানায় মামলা করা হয়। এতে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে বসুন্ধরার এমডির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান মামলার বাদী।

বাদী এজহারে উল্লেখ করেন, মুনিয়া (২১) মিরপুর ক্যান্ট. পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী। মামলার আসামি সায়েম সোবহান আনভীরের (৪২) সঙ্গে দুই বছর আগে মুনিয়ার পরিচয় হয়। এরপর থেকে তারা বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় দেখা করতেন। সব সময় মোবাইলে তাদের মধ্যে কথা হতো। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলনে সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, “ফেসবুকে একটি ছবি আপলোড হয়; সেই ছবিকে কেন্দ্র করেই তরুণীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে”

বাদী এজাহারে বলেন, ২৩ এপ্রিল মুনিয়া তাকে ফোন করে বলেন, আনভীর তাকে বকা দিয়েছেন। বলেছেন, কেন তিনি (মোসারাত) ফ্ল্যাটের মালিকের বাসায় গিয়ে ইফতার করেছেন, ছবি তুলেছেন। ফ্ল্যাটের মালিকের স্ত্রী ফেসবুকে ছবি পোস্ট করেছেন। এ ছবি ফ্ল্যাট মালিকের স্ত্রীর বান্ধবী ‌পিয়াসা দেখেছেন। তিনি তার (আসামির) মাকে সবকিছু জানিয়ে দেবেন।

এজাহারে আরও বলা হয়েছে,  বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি মুনিয়াকে বলেছেন, তিনি দুবাই চলে যাচ্ছেন, সে যেন কুমিল্লায় চলে যায়। আসামির মা জানতে পারলে তাকে (মুনিয়া) মেরে ফেলবেন।

এজাহারে নুসরাত বলেন, আসামিকে উদ্ধৃত করে মুনিয়া বলেন, আসামি তাকে বলেছেন, তিনি (মুনিয়া) তার শত্রুর সঙ্গে দেখা করেছেন। মুনিয়াকে তিনি ছাড়বেন না। মুনিয়া চিৎকার করে বলেন, আসামি তার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। যেকোনো সময় তার বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তারা (বাদী নুসরাতের পরিবার) যেন দ্রুত ঢাকায় আসেন।

তরুণীর লাশ উদ্ধারের পর যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ সেটি হলো আনভীর এখন কোথায়। এজাহারে উল্লেখ আছে, ২৩ এপ্রিল মুনিয়াকে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি ফোন করে বলেছেন তিনি দুবাই চলে যাচ্ছেন।

এদিকে মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) বসুন্ধরা গ্রুপের এমডির বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালত। 

ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) জাফর হোসেন বলেন, “সায়েম সোবহানের দেশত্যাগে পুলিশের করা আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।” কারও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য আদালতের অনুমতির প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।

সুদীপ কুমার চক্রবর্তী আরও বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অভিবাসন কর্তৃপক্ষকেও সায়েম সোবহান যাতে দেশ ছাড়তে না পারেন, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।

আগামীনিউজ/নাসির

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে