Dr. Neem on Daraz
Victory Day

ভূমিকম্পে তুরস্ক-সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে


আগামী নিউজ | আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩, ০৯:৫০ এএম
ভূমিকম্পে তুরস্ক-সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে

ঢাকাঃ শক্তিশালী ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। তাদের মধ্যে শুধু তুরস্কেই মারা গেছে ১২ হাজার ৩৯১ জন। অন্যদিকে, সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা দুই হাজার ৯৯২ জন। এতে সব মিলিয়ে এখন মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৩৮৩ জনে।

ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তুরস্কের হাতেয় প্রদেশ। বুধবার সেই অঞ্চলে যান তার্কিস প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। সেখানে তাকে ধীরগতির উদ্ধার অভিযান সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়। তিনি জানান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি। আর এত বড় দুর্যোগ সামাল দেওয়ার মতো প্রস্তুতি নেওয়া অসম্ভব। কিন্তু তবুও সবাইকে উদ্ধার করা হবে বলে প্রতিশ্রতি দিয়েছেন তিনি।

শুধুমাত্র হাতেয় প্রদেশেই মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৩০০ মানুষের। এ অঞ্চলের বেশিরভাগ ভবন ধসে পড়েছে। ধুলোয় মিশে গেছে পাড়ার পর পাড়া।  

এদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার জনের মৃত্যুর কথা বলা হলেও, আশঙ্কা করা হচ্ছে এ সংখ্যাটি অনেক বাড়বে। কারণ এখনো হাজার হাজার মানুষ ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ভূমিকম্প সংঘটিত হওয়ার পর তিন দিন কেটে যাওয়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো যারা আটকে আছেন তাদের জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনাও ক্ষীণ হয়ে এসেছে।

যুক্তরাজ্যের নটিংহ্যাম ট্রেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ স্টেভেন গোডবে বলেছেন, ‘দুর্যোগের প্রথম ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা থাকে ৭৪ শতাংশ। ৭২ ঘণ্টা (তিন দিন) পর এটি নেমে আসে ২২ শতাংশে। আর পঞ্চম দিনে কোনো আহত বা ক্ষতিগ্রস্তের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ৬ শতাংশে চলে আসে।

তবে এ বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, তা সত্ত্বেও এখনই আশা ছেড়ে দেওয়া যাবে না।

ভূমিকম্পটি স্থানীয় সময় গত সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটের দিকে তুরস্কের গাজিয়ানটেপ শহরের কাছে ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরতায় অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল গাজিয়ানটেপ প্রদেশের নুরদাগি থেকে ২৩ কিলোমিটার পূর্ব দিকে ছিল। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। ভূমিকম্পটি যখন হয়, তখন বেশির ভাগ মানুষ ঘুমাচ্ছিল। শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের কয়েক ঘণ্টা পরই আরেকটি বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়। পরের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল তুরস্কের কাহরামানমারাস প্রদেশের এলবিস্তান এলাকায়। ইউএসজিএস জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৫। 

এদিকে মর্মান্তিক এই ভূমিকম্পের ঘটনায় তুরস্কে সাত দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। হতাহতদের স্মরণে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এক মিনিটের নীরবতা পালন করা হয়েছে। ভূমিকম্পের কারণে দেখা দেওয়া চরম মানবিক সংকট মোকাবিলায় তুরস্ক ও সিরিয়াকে তাৎক্ষণিকভাবে সহায়তা দেওয়ার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইসরায়েল, রাশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশ।

বুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে