Dr. Neem on Daraz
Victory Day

তুরস্ক-সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়াতে পারে, শঙ্কা ডব্লিউএইচওর


আগামী নিউজ | আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৩, ১২:৫৭ পিএম
তুরস্ক-সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়াতে পারে, শঙ্কা ডব্লিউএইচওর

ঢাকাঃ তুরস্ক-সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। দেশ দুটিতে আরও ভবন ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

ডব্লিউএইচও’র ইউরোপ অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ জরুরি কর্মকর্তা ক্যাথরিন স্মলউড বার্তা সংস্থা এএফপি’কে বলেছেন, আরও (ভবন) ধসের শঙ্কা রয়েছে। তাই আমরা (নিহতের) প্রাথমিক সংখ্যা আটগুণ বাড়ার আশঙ্কা করছি।

সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় ভুক্তভোগী দেশ দুটিতে প্রাণহানির সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৬০০ জন। নেই হিসাবে এর সংখ্যা শেষ পর্যন্ত ২০ হাজার ছাড়িয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন ক্যাথরিন স্মলউড।

তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যবশত, ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে আমরা সবসময় একই জিনিস দেখতে পাই, তা হলো- প্রাথমিক খবরে পাওয়া হতাহতের সংখ্যা পরবর্তী সপ্তাহে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, তুরস্ক এবং সিরিয়া - দুটি দেশেই হাজার হাজার ভবন ধসে পড়েছে। বারো তলা বিল্ডিংও মাটির সঙ্গে মিশে গেছে, রাস্তা ধসে গেছে। চোখ যতদূর যায় ততদূর পর্যন্ত শুধু ধ্বংসস্তুপের পাহাড় দেখা যাচ্ছে।

বৃষ্টির কারণে উদ্ধার তৎপরতা ব্যহত হচ্ছে। রাতে শহরটিতে কোন বিদ্যুৎ ছিল না। সোমবার ভোররাতে শক্তিশালী ভুমিকম্প আঘাত হানার ১২ ঘণ্টা পরে আরেকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত করে। দুটি দেশেই দুর্গত এলাকা জুড়ে এক বিশাল উদ্ধার অভিযান চলছে।

তবে গ্রাম ও শহরগুলোয় উদ্ধারকর্মীদের ধ্বংসস্তূপ অনুসন্ধানের সাথে সাথে এই সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।

ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল প্রতিবেশী তুরস্কে হলেও সিরিয়াতেও বহু শত মানুষ মারা গেছে। এই দুর্যোগের ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের ভিডিও এবং ছবি উঠে আসছে। আলেপ্পোর উত্তর-পশ্চিমে এক শহর থেকে পাওয়া এক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে ভবনগুলি ধসে পড়ার সাথে সাথে ধুলোর বিশাল মেঘের মধ্য দিয়ে বাসিন্দারা পালিয়ে যাচ্ছে এবং চিৎকার করছে।

ভূমিকম্পে খুবই ক্ষতিগ্রস্ত কিছু এলাকা সরকারি নিয়ন্ত্রণে নেই। তাই সেখানে চিকিৎসা সেবা এবং জরুরি সরবরাহের সুযোগ সীমিত। সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কাজ করা একটি ত্রাণ সংস্থা হোয়াইট হেলমেট জরুরি সাহায্যের আহ্বান জানিয়েছে।

স্থানীয় সময় সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরের দিকে তুরস্ক-সিরিয়ায় সীমান্ত অঞ্চলে আঘাত হানে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প। গত এক শতাব্দীর মধ্যে ওই অঞ্চলে আঘাত হানা ভূমিকম্পগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম শক্তিশালী বলে জানানো হয়েছে।

ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল তুরস্কের কাহরামানমারাস থেকে ৬৭ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে। ১৯৯৯ সালে ইস্তাম্বুলের কাছে জনবহুল পূর্ব মারমারা সাগর অঞ্চলে আঘাত হেনেছিল একই মাত্রার একটি ভূমিকম্প। ওই ঘটনা ১৭ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ নিয়েছিল।

বুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে