Dr. Neem on Daraz
Victory Day

তালেবান নেতৃত্বে বিরোধ, কাবুল ছেড়েছেন বারাদার


আগামী নিউজ | আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১, ১০:৪১ এএম
তালেবান নেতৃত্বে বিরোধ, কাবুল ছেড়েছেন বারাদার

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকাঃ নেতৃত্বের বিরোধে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল ছেড়ে চলে গেছেন তালেবানের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আব্দুল গনি বারাদার। তালেবানের জ্যেষ্ঠ নেতাদের বরাত দিয়ে বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

জানা গেছে, প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে তালেবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোল্লাহ আবদুল গনি বারাদারের সঙ্গে একজন মন্ত্রিপরিষদ সদস্যের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়েছে।

তালেবান নেতৃত্বের মধ্যে মতবিরোধ চলছে বলে বেশ কিছুদিন ধরেই খবর পাওয়া যাচ্ছিল, যদিও তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে জনসমক্ষে দেখা যায়নি মোল্লাহ বারাদারকে। তবে তালেবানের কর্মকর্তারা বরাবরই এসব তথ্য নাকচ করে দিয়েছেন।

গত মাসের ১৫ তারিখ তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দেশটিকে ‘ইসলামিক আমিরাত’ বলে ঘোষণা করে।

তারা যে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘোষণা করেছে, সেখানে সবাই পুরুষ ও জ্যেষ্ঠ তালেবান নেতারা রয়েছেন। তাদের কারও কারও বিরুদ্ধে গত দুই দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ভয়াবহ সব হামলার অভিযোগ রয়েছে।

তালেবানের একটি সূত্র বিবিসি পশতুকে জানিয়েছে, বারাদার ও শরণার্থী বিষয়ক মন্ত্রী খলিল উর-রহমান হাক্কানির মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ বাক্য বিনিময় হয়েছে। তখন সেখানে থাকা তাদের অনুসারীরাও পরস্পরের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। খলিল উর-রহমান হাক্কানি আফগানিস্তানের সশস্ত্র গোষ্ঠী হাক্কানি নেটওয়ার্কের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত কাতার-ভিত্তিক একজন জ্যেষ্ঠ তালেবান নেতা নিশ্চিত করেছেন, গত সপ্তাহেও একবার তর্কবিতর্ক হয়েছিল।

সূত্রগুলো জানিয়েছে, সেখানে বিতণ্ডা তৈরি হওয়ার কারণ হলো নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গঠন নিয়ে সন্তুষ্ট নন বারাদার। আফগানিস্তানে তালেবানের বিজয়ে কৃতিত্ব কার হবে, সেই নিয়েই বিরোধের শুরু।

জানা যাচ্ছে, বারাদার মনে করেন, তার মতো যারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনা চালিয়েছেন, কৃতিত্ব তাদের। তবে তালেবানের অন্যতম জ্যেষ্ঠ একজন নেতা পরিচালিত হাক্কানি গ্রুপের সদস্যদের মত, যুদ্ধের মাধ্যমে তারা এই বিজয় পেয়েছেন।

প্রথম তালেবান নেতা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কোনও প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ হয়েছে বারাদারের। ২০২০ সালে তখনকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার টেলিফোনে কথা হয়। তার আগে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহার চুক্তিতে তালেবানের পক্ষে তিনি স্বাক্ষর করেন।

তালেবান সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, বিতণ্ডার পর বারাদার কাবুল ত্যাগ করেছেন এবং কান্দাহারে চলে গেছেন। সোমবার প্রকাশ হওয়া বারাদারের একটি কথিত অডিও বার্তায় তালেবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতাকে বলতে শোনা যায়, তিনি একটি সফরে রয়েছেন।

সূত্র থেকে বিবিসি জানতে পেরেছে, আশা করা হচ্ছে বারাদার কাবুলে ফিরে আসবেন এবং এসব বিরোধের বিষয় নাকচ করে ক্যামেরার সামনে বক্তব্য দেবেন।

উল্লেখ্য, তালেবানের রাজনৈতিক, সামরিক ও ধর্মীয় বিষয়ের সুপ্রিম লিডার হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা কখনও জনসমক্ষে না আসায় তাকে নিয়েও নানারকম জল্পনা রয়েছে। তথ্যসূত্র: বিবিসি, ডেইলি মেইল।

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে