Dr. Neem on Daraz
Victory Day

গাজা ‘শিশুদের কবরস্থানে’ পরিণত হচ্ছে: জাতিসংঘ


আগামী নিউজ | আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২৩, ১০:৪৮ এএম
গাজা ‘শিশুদের কবরস্থানে’ পরিণত হচ্ছে: জাতিসংঘ

সংগৃহীত ছবি

ঢাকাঃ ইসরায়েলের হামলা জোরদার হওয়ার সাথে সাথে গাজা শিশুদের কবরস্থানে পরিণত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেন, প্রতি ঘণ্টা পার হওয়ার সাথে সাথে মানবিক অস্ত্রবিরতির প্রয়োজনীয়তা আরো বেশি বাড়ছে।

এর আগে এক যৌথ বিবৃতিতে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো জানায়, গাজা এবং ইসরায়েলে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যাকাণ্ড ভয়াবহ।

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা জোরদার হয়েছে। তারা দাবি করছে যে, তারা হামাসের অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা করছে এবং বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যু কমানোর চেষ্টা করছে।

বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রে এবিসি নিউজকে বলেন, যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গাজার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকবে ইসরায়েলের হাতে।

সোমবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে তারা গত ২৪ ঘণ্টায় হামাসের সাড়ে চারশো স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার স্থানও।

গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ১০ হাজার ২২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে চার হাজার ১০৪ জন শিশু রয়েছে।

হামাসের হামলায় ১৪০০ ইসরায়েলি নিহত এবং ২০০ জনের বেশি জনকে জিম্মি করার পর গাজায় বোমা হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, ঘনজনবসতিপূর্ণ গাজা ক্রমশ শিশুদের কবরস্থানে পরিণত হচ্ছে। আরো একবার যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছএন তিনি। গাজা স্ট্রিপের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, এটি একটি সার্বিক মানবিক সংকটে পরিণত হয়েছে। গোটা বিশ্বের উচিত এই পরিস্থিতি থামানোর জন্য আবেদন করা।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সোমবার ফিলিস্তিনের লাখ লাখ বেসামরিক নাগরিকদের জন্য এক দশমিক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মানবিক সহায়তার আর্জি জানিয়েছেন। গুতেরেস বলেন, এই অর্থ গাজা উপত্যকার পুরো জনসংখ্যা এবং পূর্ব জেরুসালেম সহ পশ্চিম তীরের পাঁচ লাখ ফিলিস্তিনির সহায়তায় ব্যয় করা হবে।

রাফাহ ক্রসিং পার হয়ে মিশর থেকে গাজায় কিছু পরিমাণ ত্রাণ প্রবেশ করলেও গুতেরেস বলেন, সেগুলো আসলে পর্যাপ্ত নয়। তিনি বলেন, বিন্দু পরিমাণ সহায়তা সাগর পরিমাণ চাহিদা পূরণে যথেষ্ট নয়।

তিনি বলেন ত্রাণ বাহী পরিবহন গাজায় পূর্ণ মাত্রায় প্রবেশ করতে দেয়া উচিত। তিনি উল্লেখ করেন, গত দুই সপ্তাহের বেশি সময়ে গাজায় মাত্র ৪০০টি ট্রাক প্রবেশ করেছে যেখানে যুদ্ধ শুরু আগে স্বাভাবিক সময়েই প্রতিদিন পাঁচ শতাধিক ট্রাক প্রবেশ করতো।

গুতেরেস গাজায় আরো বেশি পরিমাণ জ্বালানি সরবরাহের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। জ্বালানি ছাড়া ইনকিউবেটরে থাকা নবজাতক এবং লাইফ সাপোর্টে থাকা রোগীরা মারা যাবেন।


এমআইসি

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে