Dr. Neem on Daraz
Victory Day

অগ্নিগর্ভ নাগাল্যান্ডে গুলি-সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১৬


আগামী নিউজ | আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০২১, ০৪:২১ পিএম
অগ্নিগর্ভ নাগাল্যান্ডে গুলি-সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১৬

ফাইল ছবি

ঢাকাঃ ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলের রাজ্য নাগাল্যান্ডের মন জেলায় গুলি ও সংঘর্ষে নিরস্ত্র গ্রামবাসীসহ কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার রাত থেকে শুরু হয়ে রোববার দিনব্যাপী চলা এ ঘটনাচক্রে বহু মানুষ আহত হয়েছেন। এর জেরে সোমবারও রাজ্যটির বিভিন্ন অংশে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

 

দৈনিক আনন্দবাজার অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রথমে শনিবার রাতে ভুল বোঝাবুঝির জেরে নিরস্ত্র ৬ গ্রামবাসীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তারপর দেহ নিতে আসা গ্রামবাসীদের ওপর আরও এক দফা গুলি চালানো হয়। এতে আরও কয়েকজনের প্রাণহানী ঘটে। গ্রামবাসীদের আক্রমণে ভারতীয় সেনার এক প্যারা কমান্ডোও নিহত হয়েছেন।

এ পরিস্থিতির মধ্যে রবিবার বিকেলে উত্তেজিত জনতা আসাম রাইফেলসের শিবিরে হানা দিলে তৃতীয় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ২ জন নিহত হন। অগ্নিগর্ভ নাগাল্যান্ডের মন জেলায় এখনও পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ১৬।

উত্তেজনা এড়াতে নাগাল্যান্ড রাজ্য সরকার মন জেলায় মোবাইল ইন্টারনেট, ডেটা পরিষেবা, এসএমএস পরিষেবা বন্ধ করে দেয়। রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী নেফিউ রিও দিল্লি সফর ও নাগা শান্তি আলোচনা সংক্রান্ত বৈঠক অসমাপ্ত রেখেই বিকেলে কোহিমা পৌঁছান। কাল রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বন্ধ ডাকা হয়েছে। মন জেলায় জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মন জেলার বিজেপি সভাপতি ন্যাওয়াং কন্যাক দাবি করেন, বিজেপির পতাকা লাগানো গাড়িকেও রেয়াত করেনি সেনা। তার দাবি, গুলিচালনার কথা জেনে ভাইপো, প্রতিবেশী ও চালককে নিয়ে তিনি ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হন। কিন্তু কাছাকাছি আসতেই তাদের গাড়ি আটকানো হয়।

পরিচয় দেওয়ার পরও গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালান জওয়ানরা। কন্যাকের এক প্রতিবেশী মারা যান। বাকিরা আহত হন। তার কথায়, ‘হিন্দুস্তানি আর্মি খুশি খুশি গোলি মার রহা থা। গাড়িতে বিজেপির পতাকা দেখে ও আমার পরিচয় জেনেও ওরা আমাদের মারার জন্য গুলি চালাতে থাকে।’

ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে মৌন প্রার্থনা পালিত হয়। বাতিল করা হয়েছে হর্নবিল উৎসব। প্রতিবাদ চলাকালীনই মনের বাসিন্দারা মিছিল করে আসাম রাইফেলস শিবিরের দিকে এগোন। বাধা পেতেই উত্তেজিত জনতা আসাম রাইফেলস শিবির ভাঙচুর শুরু করেন। জওয়ানরা শূন্যে গুলি চালান। কাজ হয়নি। শিবিরের বেশ কিছু পোস্টে আগুন লাগানোর পর গুলি চলতে থাকে। বেশ কয়েক জন প্রতিবাদকারী হতাহত হন।

শনিবার রাতের ঘটনা নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী নেফিয়ু রিও বলেন, ‘ওটিং গ্রামে ভুল করে সাধারণ গ্রামবাসীদের হত্যা করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। ঘটনাটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। সরকার নিহতদের পরিবারের পাশে রয়েছে। ঘটনার তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের বিশেষ তদন্ত দল (সিট) গঠন করা হয়েছে। ন্যায়বিচার মিলবেই।’

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে টুইটে লেখেন, ‘উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। নিহতদের পরিবার অবশ্যই ন্যায়বিচার পাবে।’

আগামীনিউজ/নাসির 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে