Dr. Neem on Daraz
Victory Day
আয়া সোফিয়াকে মসজিদ ঘোষণা

রাশিয়া বলল ‘এটি তুরস্কের অভ্যন্তরীণ বিষয়’


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০২০, ০১:১১ পিএম
রাশিয়া বলল ‘এটি তুরস্কের অভ্যন্তরীণ বিষয়’

ছবি সংগৃহীত

ঢাকা: বিশ্বজুড়ে বির্তকে থাকা তুরস্ক আয়া সোফিয়া জাদুঘরকে মসজিদ হিসেবে ঘোষণা করার পর প্রথমবার দেশটির সরকারের পদক্ষেপকে সমর্থন দিয়েছে রাশিয়া। রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ভেরশিনিন বলেছেন, এটি সম্পূর্ণ তুরস্কের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এতে বাইরের কোনো দেশের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়।

তিনি এমন সময় এ মন্তব্য করলেন, যখন পশ্চিমা দেশগুলোর পাশাপাশি রাশিয়ার অর্থোডক্স চার্চের পক্ষ থেকেও তুর্কি সরকারের এ পদক্ষেপের নিন্দা জানানো হয়েছে। রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।

এর আগে রাশিয়ার ভলোকলামস্ক শহরের অর্থোডক্স চার্চের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়, আয়া সোফিয়া জাদুঘরকে মসজিদ হিসেবে ঘোষণা করা খ্রিস্টানদের মুখে চপেটাঘাতের শামিল। তুরস্কের সুপ্রিমকোর্টের এক রায়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান গত শুক্রবার দেশটির আয়া সোফিয়া জাদুঘরকে মসজিদ হিসেবে ঘোষণা করেন।

এরদোগান বলেন, শিগগিরই এই ঐতিহাসিক স্থাপনা মুসলমানদের নামাজ আদায়ের জন্য খুলে দেয়া হবে। তুর্কি জনগণ এরদোগানের এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানালেও পশ্চিমা দেশগুলো এর তীব্র বিরোধিতা করে আসছে। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই আয়া সোফিয়ার ইতিহাস আজ অবধি বেশ বৈচিত্র্যপূর্ণভাবে আবর্তিত হয়ে আসছে।

৩৬০ খ্রিস্টাব্দে সর্বপ্রথম এটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন রোমান সাম্রাজ্যের প্রথম খ্রিস্টান সম্রাট কনস্টান্টিনোপল। বর্তমান কাঠামো তৈরি করেন সম্রাট জাস্টিনিয়ান।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১২০৪ সাল পর্যন্ত আয়া সোফিয়া ছিল ইস্টার্ন অর্থডক্স ক্যাথিড্রাল। ১২০৪ থেকে ১২৬১ সাল পর্যন্ত রোমান ক্যাথলিক চার্চ, ১২৬১তে এটি আবার ইস্টার্ন অর্থডক্স ক্যাথিড্রালে ফিরে আসে এবং ১৪৫৩ সাল পর্যন্ত অর্থডক্স গির্জা হিসেবেই বহাল ছিল আয়া সোফিয়া।

অতঃপর ঘটনাবহুল ঐতিহাসিক এক যুদ্ধে ইস্তানবুল জয়ের সময় এটিও জয় করেন উসমানি খলিফা সুলতান মুহাম্মাদ আল ফাতিহ। এর পরই এটিকে মসজিদে রূপান্তর করা হয়।

ঐতিহাসিক সূত্রের বরাত দিয়ে আলজাজিরা জানায়, সুলতান মুহাম্মাদ আল ফাতিহ ইস্তানবুল জয় করার পর যাজকদের কাছ থেকে আয়া সোফিয়া বিক্রি করার আবেদন জানান এবং যাজকরা রাজি হলে নিজের টাকায় গির্জাটি ক্রয় করেন। তিনি বিজয়ী হিসেবে গির্জা ছিনিয়ে নিতে পারতেন, রাষ্ট্রীয় টাকায় কিনতে পারতেন, কিন্তু সেসব না করে চুক্তিনামা করে নিজের টাকায় গির্জাটি ক্রয় করে নেন। এখনও সেই ঐতিহাসিক চুক্তিনামা সংরক্ষিত আছে।

আগামীনিউজ/এসএআই/এমআর

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে