Dr. Neem on Daraz
Victory Day

সোনালু


আগামী নিউজ | ডঃ নিম হাকিম প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২১, ১২:৪৯ পিএম
সোনালু

ছবি: সংগৃহীত

পরিচিতিঃ (Botanical Name: Cassia fistula L.,Common Name: Sonalu, Bandar Lathi., English Name: Indian Laburbum, Family: Liguminosae)

সোনালু মাঝারি ধরনের ২০-৩০ ফুট লম্বা বৃক্ষ। ঝোপঝাড় কম এবং ছাল খুব মোটা যার ভিতরে পাকা সোনার মতো বর্ণ। পাতা জাম পাতার মতো ৫ থেকে ৬ ইঞ্চি লম্বা, অগ্রভাগ সরু অনেকটা বেল পাতার মতো। প্রত্যেক শাখার অগ্রভাগে একটি পাতাসহ ৭ থেকে ৮ জোড়া পাতা থাকে। ফ্রেবুয়ারী মাসে পাতা ঝরে যায় এবং মার্চ মাসে নতুন পাতা বের হয়। একই সময়ে সোনালী বর্ণের ফুল ফোটে।ডিসেম্বর মাসে ফল হয়। ফল লাঠি বা তরবারির মতো ৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। কাঁচা ফল সবুজ এবং পাকলে কালো মিশ্রিত লাল হয়। ফলের ভিতরে আঠালো পদার্থ থাকে। গাছের ছাল, পাতা ও ফলের ভিতরের আঠালো পদার্থ ব্যবহার করা হয়।

প্রাপ্তিস্থানঃ বাংলাদেশের সব জায়গায় এটি জন্মে থাকে।

চাষাবাদঃ বীজ থেকে চারা হয়। বছরের সব সময় চারা লাগানো যায়। তবে এপ্রিল মাসে চারা লাগানো ভালো।

লাগানোর দূরত্বঃ ১০ থেকে ১৫ ফুট।

উপযোগী মাটিঃ সব ধরনের মাটিতে সোনালু জন্মে।

বীজ আহরণঃ জুলাই মাসে ফল পাকলে গাছ থেকে তা পড়ে রোদে শুকিয়ে বীজ আলাদা করে সংরক্ষণ করা যায়।

প্রতি কেজিতে বীজের পরিমাণঃ প্রায় ১ হাজার।

বীজ সংগ্রহের সময়ঃ ডিসেম্বর।

ব্যবহার্য অংশঃ পাতা, ফুল,  গাছের ছাল, ফল, মজ্জা ও খোসা।

উপকারিতা/ লোকজ ব্যবহারঃ সোনালু কোষ্ঠ পরিস্কারক, যকৃতের প্রতিবন্ধকতা ও জন্ডিস রোগে উপকারি। সোনালুর প্রলেপ সর্দি, ব্যথা ও ফোলা দূর করে। রক্ত আমাশয় ও পেট ফাপা দূর করে। টাটকা সোনালু ফল বমিকারক, হজমকারক। ডিপথেরিয়া ও কলেরা রোগে উপকারি।

কোন অংশ কিভাবে ব্যবহৃত হয়ঃ

  • ১ চা চামচ ফলের মজ্জা পানির সাথে মিশিয়ে ছেঁকে খেলে কোষ্ঠবদ্ধতা দূর হয়।
  • ১/২ চা চামচ পাতার পেস্ট ঘিয়ে ভেজে সকালে পানিসহ খেলে আমবাতে উপকার পাওয়া যায়।
  • ২/৩ চা চামচ ফলের খোসা ২ কাপ পানিতে ভিজিয়ে পরবর্তীতে জ্বাল করে ১ কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে প্রতিদিন ২/৩ বার খেলে ঋতুস্রাব নিয়মিত হয়।

পরিপক্ক হওয়ার সময়কালঃ সাধারণতঃ ৪-৫ বছরে সোনালু গাছ পরিপক্ক হয় তবে পূর্ণাঙ্গ পরিপক্ক হতে ১০ বছর সময় প্রয়োজন।

অন্যান্য ব্যবহারঃ কাট ইটের মত লাল। জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও ঢেঁকি, সাঁকো ইত্যাদি বানানোর কাজে ব্যবহার করা হয়।

আয়ঃ প্রতি একর জমিতে বছরে ৪০,০০০ টাকা থেকে ৫০,০০০০ টাকা আয় করা সম্ভব।

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে