নীলফামারী জেলার উপজেলাগুলোতে স্থানীয় নামে পরিচিত গেন্ডারি ও হাইব্রীড জাতের আখ চাষে ব্যাপক সাফল্য ও অন্যান্য ফসলের তুলনায় বেশি লাভবান হওয়ায় আখ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।
ডোমার সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় উঁচু ও পানি নিষ্কাশন জমিতে গেন্ডারি, হাইব্রীড জাতের আখ চাষ করা হয়েছে। আখ চাষিরা হাসি মুখে আখ ক্ষেতেই খুচরা ও পাইকারি দামে বিক্রি করছে।
আখ চাষিদের দেয়া তথ্য মতে, বাংলা সনের আশ্বিন ও কার্তিক মাসে আখ জমিতে রোপন করা হয়। আখ বাজারজাত করনের উপযোগী হতে সময় লাগে প্রায় ৮ হতে ১০ মাস। প্রতি একর জমিতে ৩০ হাজার হতে ৩৫ হাজার পিস আখের ফলন হয়। প্রতি পিস ৬ টাকা হতে ১০ টাকা এমনকি চাহিদা অনুযায়ী এর চেয়ে অধিক দামেও বিক্রি করা হয়। একরে ৩ লক্ষ থেকে সাড়ে তিন লক্ষাধিক টাকার আখ বিক্রয় করা যায়। প্রতি একর আখ চাষে উৎপাদন খরচ দাঁড়ায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। আখ চাষের পাশাপাশি আখক্ষেতে সাথী ফসল হিসেবে আলু, শাক ও অন্যান্য সাথী ফসল চাষ করা যায় বলে চাষে আগ্রহ বাড়ছে বলে জানায় আখ চাষিরা।
উপজেলার নয়ানী গ্রামের আখ চাষি চন্দন বলেন, তুলনামূলকভাবে অন্যান্য চাষাবাদের চেয়ে আখ চাষে অধিক মুনাফা পাওয়া যায়।
পশ্চিম বোড়াগাড়ী গ্রামের আখ চাষি আলামিন ইসলাম বলেন, আখ চাষে অধিক মুনাফা হলেও ব্যাপকহারে আখ চাষের পরিকল্পনা নেই। কারন এই জাতের আখ শুধু চিবিয়ে খায় মানুষ, বাণিজ্যিকভাবে বিক্রয় করা যায় না। সুগারমিল এই জাতের আখ ক্রয় করে না। বাণিজ্যিকভাবে বিক্রয় কিংবা কাঁচামাল হিসেবে অন্যকোনো কাজে ব্যবহার করা হলে, চাষিরা ব্যাপক হারে আখ চাষ করতে পারবে।
ডোমার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জাফর ইকবাল বলেন, ইশ্বরদী-৩৭/৩৮ জাতের চিবিয়ে খাওয়া আখ গেন্ডারি ও হাইব্রিড নামে স্থানীয়ভাবে পরিচিত। এই জাতের আখ শুধু চিবিয়ে খাওয়ার জন্যই, এই জাতের আখের রস দিয়ে চিনি, গুড় তৈরি করা হয় না। বাণিজ্যিকভাবেও বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। তবে শুধু চিবিয়ে খাওয়ার জন্য অনেক চাহিদা আছে আমাদের দেশে। ডোমার উপজেলায় প্রতি বছর ইশ্বরদী ৩৭/৩৮ জাতের আখ চাষ করা হয়, চলতি বছরে উপজেলায় ৮ হেক্টর জমিতে ইশ্বরদী ৩৭/৩৮ জাতের আখ চাষ করা হয়েছে।
আগামীনিউজ/হাসি