Dr. Neem on Daraz
independent day of bangladesh

মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ মাহির


আগামী নিউজ | বিনোদন ডেস্ক প্রকাশিত: মার্চ ১৮, ২০২৩, ১০:৫১ পিএম
মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ মাহির

ঢাকাঃ পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ৬ ঘণ্টা কারাভোগের পর মুক্ত হয়েছেন ঢালিউডের অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি।

শনিবার (১৮ মার্চ) রাতে গাজীপুর জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

কারামুক্ত হয়ে সংবাদ সম্মেলনে মাহিয়া মাহি বলেন, আমি কারাগারের ভেতরে অনেক শান্তিতে ছিলাম। আমাকে যখন বিমান থেকে নিয়ে আসে তখন ইমিগ্রেশনের পুলিশ আমাকে কারও সঙ্গে কথা বলতে দেবে না, পুরো এয়ারপোর্ট ফাঁকা হয়ে গেছে।

মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে ঢাকাই চলচ্চিত্রের এ নায়িকা বলেন, আমি ভীতসন্ত্রস্ত। আমি মাহিয়া মাহি আমাকে যে মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। আমাকে একটা গাড়িতে আনা হয়েছে সেটা অনেক গরম ছিল। আমি ঠাণ্ডা পানি চাচ্ছিলাম। একটু পরপর আমার তৃষ্ণা পাচ্ছিল। তারা একটা পানি কিনে দিতে এক ঘণ্টা সময় নিয়েছে।

নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে মানবিকতা পাননি উল্লেখ করে মাহি বলেন, আমার স্বামী দেশে আসলে, তার বিরুদ্ধেও তো এই মামলাটা আছে। তার সঙ্গে কি হবে? আমি আমার স্বামীর নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।

mahi

এর আগে শনিবার বেলা ১২টার দিকে বিমানবন্দর এলাকা মাহিকে গ্রেফতার করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। এরপর তাকে গাজীপুর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে (সিএমএম) পাঠানো হয়। বিচারক রিমান্ড নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কারাগারে যাওয়ার সাড়ে ৩ ঘণ্টা পরেই দুই মামলার জামিন মিলে নায়িকার। বিকেল ৫টায় দিকে মাহিকে জামিন দেন আদালত। গর্ভবতী ও সেলিব্রেটি বিবেচনায় আদালত এ আদেশ দেন বলে জানান মাহির আইনজীবী অ্যাডভোকেট আনোয়ার।

mahi

শুক্রবার (১৭ মার্চ) রাতে গাজীপুরের বাসন থানার এসআই রোকন মিয়া বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মাহি ও তার স্বামী রাকিব সরকারের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।

এছাড়া জমি দখলের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে হুকুমের আসামি করে আরও একটি মামলা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন।

এদিকে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফেসবুক লাইভে গ্রেফতার হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন ঢাকাই সিনেমার এই নায়িকা। ওমরাহ পালন করতে যাওয়া মাহি সৌদি আরবের মক্কা শহর থেকে করা সেই ফেসবুক লাইভে মাহি বলেন, ‘হতে পারে আমি দেশে আসার সঙ্গে সঙ্গে হয়তবা আমরা অ্যারেস্ট হতে পারি। যা হবার হবে, আমরা ফেস করব।’

এসএস