 
                            
                                                পিরোজপুরঃ অর্থ আত্মসাতের মামলায় এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যানের বাবা ও উপদেষ্টা আব্দুর রবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এহসান গ্রুপের বিরুদ্ধে হওয়া মামলায় তার নামে ১৭টি গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রবকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার রাতে পিরোজপুর শহরের খলিশাখালী থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার আব্দুর রব এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যান রাগীব আহসানের বাবা। তা ছাড়া তিনি ওই গ্রুপের উপদেষ্টা এবং খলিশাখালী আশরাফুল উলুম কওমি মাদ্রাসা ও জান্নাতুল মাওয়া মহিলা মাদ্রাসার পরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ জ ম মাসুদুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গ্রাহকের ১৭ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এহসান গ্রুপের বিরুদ্ধে হওয়া মামলায় আব্দুর রবের নামে ১৭টি গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। সে মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ওসি মাসুদুজ্জামান বলেন, ‘দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন আব্দুর রব। এ কারণে তাকে গ্রেফতার করতে সময় লেগেছে। খবর পেয়ে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে রবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
এহসান রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড বিল্ডার্সের প্রতিষ্ঠাতা রাগীব আহসান। ২০০৮ সালে পিরোজপুরে প্রতিষ্ঠানটি চালু করেন তিনি। পরে এটির নাম পরিবর্তন করে দেওয়া এহসান গ্রুপ। গ্রুপটি পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের নামে অধিক মুনাফা দেওয়ার কথা বলে সঞ্চয় আমানত নিয়ে ব্যবসা শুরু করে।
পিরোজপুর ও আশপাশ এলাকায় সুদবিহীন বিনিয়োগের প্রচার চালিয়ে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করত এহসান গ্রুপ। ২০১৯ সালের জুলাই থেকে প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের মাসিক লভ্যাংশ ও আমানতের টাকা ফেরত দেওয়া বন্ধ করে দেয়। প্রতারণা ও জালিয়াতি করে গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তোপখানা রোড এলাকা থেকে এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যান রাগীব আহসান ও তার ভাই আবুল বাশার খানকে গ্রেফতার করে র্যাব। ওই দিনই রাগীবের অন্য দুই ভাই মাহমুদুল হাসান ও খাইরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রাহকের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় রাগীব আহসানসহ এহসান গ্রুপের উপদেষ্টা ও পরিচালকদের বিরুদ্ধে পিরোজপুরে এ পর্যন্ত ১৯টি মামলা হয়েছে। এসব মামলার বাদী সবাই আমানতকারী ও প্রতিষ্ঠানটির কর্মী।
বুইউ
-20251013141837.jpg) 
      -20251013095452.jpg) 
       
       
       
      -20250923081410.jpg) 
       
       
       
      -20250815155757.jpg)