Dr. Neem on Daraz
Victory Day

কানায় কানায় পরিপূর্ণ যশোরের শামস-উল হুদা স্টেডিয়াম


আগামী নিউজ | জেলা প্রতিনিধি, যশোর প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২২, ০২:১৬ পিএম
কানায় কানায় পরিপূর্ণ যশোরের শামস-উল হুদা স্টেডিয়াম

যশোরঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ শুনতে যশোর স্টেডিয়ামে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন লাখো মানুষ। এরইমধ্যে স্টেডিয়াম কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আজ যশোর গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে যশোর শামস-উল হুদা স্টেডিয়ামে আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে উৎসবের শহরে পরিণত হয়েছে যশোর।

জেলা প্রশাসন ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হেলিকপ্টারে যশোর মতিউর রহমান বিমানঘাঁটিতে পৌঁছেছেন। এরপর তিনি দুপুর ২টার দিকে যশোর শামস–উল হুদা স্টেডিয়ামে জনসভায় ভাষণ দেবেন।

এদিকে সকাল থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে যশোর জেলার আট উপজেলাসহ আশপাশের জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা এসেছেন। অনেকে এখনও আসছেন। সকাল থেকেই জনসভাস্থল অভিমুখে মানুষের ঢল দেখা নামে। প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সাদা গেঞ্জি ও লাল-সবুজ টুপি পরে পুরুষ কর্মী-সমর্থকরা এবং লাল পাড়ের সবুজ শাড়ি পরে নারী কর্মী-সমর্থকরা এসব মিছিলে আছেন। সকাল থেকে যশোর শহরের বিভিন্ন সড়কে এমন দৃশ্য দেখা যাচ্ছে।

যশোর শহরের রতন করবার বিবি রোড এবং অন্যান্য এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে জনতা সমাবেশস্থলের দিকে রওনা দিচ্ছেন। জনসভার বাইরে রাস্তাতেও লোকসমাগম বেশি। মিছিল নিয়ে আব্দুর রাজ্জাক কলেজের গেট দিয়ে প্রবেশের পর স্টেডিয়ামের অংশে এগোচ্ছেন নেতাকর্মীরা। তারা দলে দলে জনসভার মাঠে ঢুকছেন। নেতাকর্মীদের স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছে এলাকা।

মণিরামপুর থেকে জনসভায় যোগ দেওয়া রহমত আলী বলেন, বহুদিন পর প্রধানমন্ত্রী যশোরে আসছেন। তাকে দেখতে বহু মানুষ আসবে, তার বক্তব্য শুনবে। আমিও এসেছি। আসলে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়। বিশেষ করে সাধারণ মানুষের অনেক উপকার হয়। তার বিকল্প নেই। আমরা আগামীতেও তাকে চাই।

মাগুরা থেকে আসা সুজয় পাল বলেন, আমরা এলাকা থেকে বুধবার বিকেলে তিনটি বাস নিয়ে এসেছি। রাতে যশোর শহরের একটি স্কুলে ছিলাম। আজ জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনবো। দেখা যাক তিনি বৃহত্তর যশোরবাসীকে কী উপহার দেন।

যদিও এই অঞ্চলের মানুষের জন্য তিনি এরইমধ্যে অনেক কিছু করেছেন, যোগ করেন সুজয়।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এবারের জনসভা হবে স্মরণকালের সেরা জনসভা। এই জনসভা শুধু স্টেডিয়ামেই হবে না; গোটা যশোর শহরই জনসভাস্থলে পরিণত হবে। এজন্য টাউনহল মাঠসহ বিভিন্ন জায়গায় এলইডি স্ক্রিন দেওয়া হয়েছে। ওই স্ক্রিনে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ সরাসরি দেখানো হবে।

তিনি বলেন, খুলনা বিভাগের সাতটি জেলা থেকে কয়েক হাজার বাস আসবে। ওইসব বাস রাখার জন্যও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠ নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, আট লাখের বেশি মানুষ জনসভায় যোগ দেবেন।

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, পাঁচ বছর পর শেখ হাসিনা যশোরে জনসভায় ভাষণ দিতে আসছেন। এই জনসভা সফল করতে আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছি। সভাস্থলে প্রবেশের জন্যে আট থেকে ১০টি প্রবেশদ্বার খোলা হয়েছে। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সভায় আগতদের জন্য পর্যাপ্ত শুকনা খাবার ও পানির ব্যবস্থা রয়েছে।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যেও নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে। যশোরের উন্নয়নে একগুচ্ছ দাবি দাওয়া রয়েছে এখানকার বাসিন্দাদের।

যশোরের নাগরিক সমাজ এরইমধ্যে যশোর মেডিকেল কলেজে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের নামে সাগরদাঁড়িতে সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, ভবদহের জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান, যশোর বিমানবন্দর আন্তর্জাতিকমানে উন্নীতকরণ ও সিটি করপোরেশনের দাবি নিয়ে মানববন্ধন ও সভা-সমাবেশ করে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন।

বুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে