রাজশাহীঃ রাজশাহীর পুঠিয়ায় ১৯ বছরের এক মেয়ের সাথে ১৫ বছরের ছেলের বিয়ের ঘটনা ঘটেছে। দীর্ঘ তিন বছরের প্রেম শেষে তারা যুগলবন্দী হলেন। শুক্রবার (১২ আগস্ট) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে পুঠিয়ার বেলপুকুর ইউনিয়নে এই বিয়ের আয়োজন করা হয়।
বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ সিজানুর রহমান (১৫) পুঠিয়ার বেলপুকুর ইউনিয়নের চক ধাদাশ গ্রামের লতিফুরের ছেলে। আর সোনিয়া খাতুন (১৯) একই উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়নের ভাড়রা গ্রামের বাবুল আলীর মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় সাড়ে ৩ বছর আগে সিজানুরের এলাকায় সোনিয়া তার খালার বাড়িতে বেড়াতে আসলে তাদের সাক্ষাৎ হয়। সোনিয়াকে পছন্দ হলে মোবাইল নম্বর ম্যানেজ করে কল দেন সিজানুর।
নিয়মিত মোবাইলে কথা হওয়ার সুবাদে এক সময় দুজন দুজনের প্রেমে পড়েন। বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে একাধিক বার শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে বাধ্য করেন ওই কিশোর। তবে বিয়ের চাপ দিলে কৌশলে সটকে পড়ার চেষ্টা করেন সিজানুর। সোনিয়া উপায় না পেয়ে শুক্রবার রাতে ছেলের বাড়িতে অবস্থান নেন সোনিয়া।
বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার কথা বলে চলে যায়। পরে গ্রাম্য মাতবররা উভয়পক্ষকে নিয়ে সালিশের জন্য চেষ্টা চালায়। সর্বসম্মতিক্রমে তাদের বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বেলপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য লতিফুল সালিশে উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, এক লাখ ২০ হাজার টাকা মোহরানায় বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়। চারজন সাক্ষী ও স্থানীয়দের স্বাক্ষরের মাধ্যমে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে।
এ বিষয়ে বেলপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ওই কিশোরের বাড়িতে কিশোরীর অবস্থানের বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ বিষয়ে কথা বলতে দুই পরিবারের সদস্যদের থানায় আসতে বলে পুলিশ চলে আসে। পরে আর কী হয়েছে তারা জানায়নি।’
এসএস