কুড়িগ্রামঃ জেলার ফুলবাড়ীতে কোন প্রকার প্রচার-প্রচারণা ছাড়াই ম্যানেজিং কমিটি গঠন ও যোগ্যতা সম্পন্ন অভিভাবক থাকলেও তাকে না নিয়ে এসএসসি পাস না করলেও সংসদ সদস্যের ডিও লেটারে এসএসসি পাস দেখিয়ে জুয়েল হক নামের এক ব্যক্তিকে বিদ্যোৎসাহী সদস্য হিসেবে নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে প্রধান শিক্ষকের মনমত কমিটি গঠনের বিরুদ্ধে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছেন ওই বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকবৃন্দ। এ ঘটনায় ওই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, ফুলবাড়ী উপজেলাধীন দক্ষিণ নওদাবস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনে প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অবৈধ ও নীতিমালা পরিপন্থীভাবে কোন প্রকার প্রচার-প্রচারণা ছাড়াই একাই তার মনমত একটি কমিটি তৈরি করে উপজেলা শিক্ষা অফিসে জমা দেয়। খবর পেয়ে ওই বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা কমিটিকে অনুমোদন না করে স্থগিত ঘোষণা করে পুনরায় নতুন করে নীতিমালা মোতাবেক কমিটি গঠনের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার ও বড়লই ক্লাস্টার বরাবর সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে, ১৯ জানুয়ারি ওই বিদ্যালয় গিয়ে তদন্তপূর্বক অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার। পরে অভিযোগকারী অভিভাবকদের ম্যানেজিং কমিটির আবেদনটি বাতিল করে পুনরায় বিধি মোতাবেক কমিটি গঠনের আশ্বাস দেন ওই শিক্ষা কর্মকর্তা।
অভিভাবক মশিয়ার রহমান বাবলু জানান, সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ যোগ্যতা সম্পন্ন লোক থাকলেও তার বাড়ীর পাশে নিজের পছন্দমত এসএসসি পাস না থাকলেও জুয়েলকে এই কমিটিতে রাখার জন্য কমিটি অফিসে। অথচ ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর অনেক অভিভাবক ডিগ্রী ও মাস্টার্স পাস রয়েছে।
সুকুমার চন্দ্র রায়, আমার বাড়ির পাশে স্কুল হলেও স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি হবে বিষয়টি আমরা জানি না, এছাড়াও এই ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অনেক দুরের লোককে করা হয়েছে।
এলাকাবাসী সোহরাব হোসেন, আমরা এলাকাবাসী আমাদের পাশেই এই স্কুলটি আমরা চাই স্কুলটিতে ম্যানেজিং কমিটিতে যোগ্যতা সম্পন্ন লোক আসুক।
অভিযুক্ত সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদের সাথে যোগাযোগ করতে তার মোবাইলে একাধিক ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
জুয়েলের সাথে যোগাযোগ করতে জুয়েলের ফোন একাধিকবার ফোন করলেই তার স্ত্রী ফোন রিসিভ করে বলে তার স্বামী বাড়ীতে নেই, তবে তার মায়ে সাথে কথা হলে, তিনি জানান বাবা আমার ছেলেটা তো মেট্রিক পাশ করে নাই।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রিয়াজুল ইসলাম জানান, অভিভাবকদের দায়ের করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে এবং সাবেক প্রধান শিক্ষক সঠিক কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারিনি, দাখিলকৃত কমিটি বাতিল করে বিধি মোতাবেক কমিটি করার প্রক্রিয়া করা হবে ।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম -২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব পনির উদ্দিন আহমেদ সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে তিনি জানান, আমাকে ওই প্রধান শিক্ষক বলেছিল জুয়েল এস এস সি পাশ তাই আমি সই করেছিলাম, কিন্তু এখন শুনতে পাচ্ছি জুয়েল এসএসসি পাস না যেহেতু আমাকে মিথ্যা বলে ডিও লেটারের সই নিয়েছে বিষয়টি আমি দেখব। কমিটি যাতে অনুমোদন না হয় সেজন্য আমি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে বলে দেব।
আগামীনিউজ/শরিফ