Dr. Neem on Daraz
Victory Day

কুমিল্লা পুলিশ লাইন্সে অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২১, ০১:৩৪ পিএম
কুমিল্লা পুলিশ লাইন্সে অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন

ছবিঃ সংগৃহীত

কুমিল্লাঃ জেলার নানুয়ার দিঘির পাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনকে কক্সবাজার থেকে কুমিল্লায় আনা হয়েছে। শুক্রবার (২২ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় তাকে কুমিল্লা পুলিশ লাইন্সে নিয়ে আসা হয়। পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী তাকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে না এনে পুলিশ লাইন্সে আনা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার।

তিনি বলেন, অভিযুক্ত ইকবাল কুমিল্লা পুলিশ লাইন্সে রয়েছে। শুক্রবার (২২ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় কড়া নিরাপত্তায় কুমিল্লা পুলিশ লাইন্সে প্রবেশ করানো হয়। কক্সবাজারে আটক ব্যক্তিই সিসিটিভি ক্যামেরায় শনাক্ত হওয়া ইকবাল বলে নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ। সেখানে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রাপ্ত তথ্য সাংবাদিকদের জানানো হবে। 

আটক ইকবাল কুমিল্লা নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ড সুজানগর এলাকার মাছ বিক্রেতা নূর আলমের ছেলে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকারের নেতৃত্বে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের টিম কক্সবাজার গিয়ে তার পরিচয় নিশ্চিত করে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে সমুদ্রসৈকত এলাকায় ঘোরাফেরা করার সময় ইকবাল হোসেনকে সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে জেলা পুলিশের একটি দল আটক করে। পরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিয়ে এসে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কক্সবাজারের এসপি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ইকবালকে কুমিল্লা জেলা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ভোরে অভিযুক্ত ইকবালকে নিয়ে কুমিল্লার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল কুমিল্লা জেলা পুলিশ। 

শারদীয় দুর্গাপূজার মহা অষ্টমীর দিন গত ১৩ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লা শহরের নানুয়া দীঘির উত্তর পাড়ে একটি অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ দেখা যায়। এরপর কোরআন শরিফ অবমাননার অভিযোগ তুলে ওই মণ্ডপে হামলা চালায় একদল লোক। সেখানে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। 

এর জেরে ধরে ওই দিন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে হিন্দুদের ওপর হামলা করতে যাওয়া একদল ব্যক্তির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সেখানে নিহত হন পাঁচজন। পরদিন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে হিন্দুদের মন্দির, মণ্ডপ ও দোকানপাটে হামলা–ভাঙচুর চালানো হয়। সেখানে হামলায় দুজন নিহত হন। এরপর রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দু বসতিতে হামলা করে ভাঙচুর, লুটপাট ও ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। দেশের আরও অনেক এলাকায় হিন্দুদের মন্দির, মণ্ডপসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা করা হয়। সর্বশেষ নানুয়ার দিঘির পাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখার ঘটনায় সহিংসতায় আহত দর্শনার্থী দিলীপ দাস (৬২) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা গেছেন।

এ ঘটনায় কুমিল্লার বিভিন্ন থানায় ৯ মামলায় ৭৯১ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে কোতোয়ালি মডেল থানায় পাঁচটি, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় দুটি এবং দাউদকান্দি ও দেবীদ্বার থানায় একটি করে মামলা হয়েছে। ৯১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলায় ৭০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৪৪ জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

আগামীনিউজ/বুরহান

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে