ছবিঃ আগামী নিউজ
ঝিনাইদহঃ বর্ষা এবং শীতের মাঝে ছোট্ট সময়ের জন্য প্রকৃতিতে আসে শরৎ। এ সময় প্রকৃতির বদলটা বেশ চোখে পড়ে। কালো মেঘ সরে গিয়ে সাদা সাদা মেঘ আকাশে ঘুরে বেড়ায়। গ্রীষ্মের গুমোট কেটে প্রকৃতিতে দেখা দেয় হালকা শীতের আভাস। বাতাসে শিউলি ফুলের গন্ধ। কাশফুল ফোটে মাঠের ধারে কিংবা শহরপ্রান্তে। আর ঠিক তখনই বোঝা যায় সপরিবারে দেবী দুর্গা আসছেন মর্তে। দেবীর আগমনকে কেন্দ্র করে ভক্তকুলে শুরু হয় ব্যস্ততা। পূজার দিন যতই ঘনিয়ে আসতে থাকে প্রতিমা কারিগর থেকে আয়োজক কিংবা প্রতিমার সাজসজ্জা বিক্রেতাদের ব্যস্ততা বাড়তে থাকে। বাঙালির জীবনে শরতের সঙ্গে জড়িয়ে আছে শারদীয় দুর্গোৎসব। শারদীয় দুর্গাপূজার আনন্দ এখন আর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এ আয়োজন রূপ নিয়েছে উৎসবে।
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি চলছে। চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। প্রতিমা বেনা (খড় দিয়ে কাঠামো) দেয়ার কাজ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। কোথাও কোথাও বেনায় মাটির প্রলেপ দেয়াও শেষ। মাটির প্রলেপ শুকানোর অপেক্ষা। কয়েক দিন পরই রঙ আর তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলা হবে দেবীর প্রতিচ্ছবি। মনের আনন্দে কাজের ছন্দে চলছে পার্বণের জোর প্রস্তুতি।
কথা হয় প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পী উত্তম পালের সাথে। তিনি জানান, দিন যতই ঘনিয়ে আসছে আমাদের ব্যস্ততা বহুগুণ বেড়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের প্রতিমার ক্যাটালগ দেখে আয়োজকরা তাদের বায়না করেন। পূজা শুরুর অন্তত দু’মাস আগে প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু হয়। প্রতিমা গুলোকে কিভাবে আরো সুন্দর করা যায় সেটা নিয়েই ব্যস্ততা। ইতিমধ্যে আমাদের প্রতিমার মাটির কাঠামোর কাজ প্রায় শেষ হয়ে গেছে। এরপর তুলির ছোঁয়া, রং করে প্রতিমা মন্ডপে সাজানোর জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত করে দিয়ে তবেই শেষ হবে ব্যস্ততা।
শ্রী শ্রী শৈলকুপা সার্বজনিন দুর্গা মন্দির কমিটির সেক্রেটারি বিশ্বজিৎ সাহা জানান, গত বছর শৈলকুপায় এক’শ এর বেশি মন্দিরে পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এবার আরোও বাড়বে আশা করছি। সরকারি আর্থিক সহায়তা পাওয়ার কারনে পূজার ব্যয়ভার বহন করা সহজ হচ্ছে। প্রতিমা তৈরির কাজ দ্রত গতিতে এগিয়ে ছলছে। খুব শিঘ্রই আমরা রঙের কাজ শুরু করতে পারবো।