ছবিঃ আগামী নিউজ
ঢাকাঃ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এ আক্রান্তের সংখ্যা দিনের পর দিন বাড়ছে, কোনোভাবেই যেন এর লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছ না। প্রতিদিন বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। ভ্যাকসিনের পাশাপাশি সতর্কতা, সচেতনতা ও পরিষ্কার থাকায় আপাতত এ ভাইরাস প্রতিরোধের একমাত্র কৌশল। এদিকে গতকাল থেকে চলছে ৮ দিনের কড়া লকডাউন।
বৃহস্পতিবার ভোর ৬ টা থেকে সারাদেশে ন্যায় সাভারেও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।
পুলিশের চেকপোস্ট এড়িয়ে এই নিষেধাজ্ঞা অপেক্ষা করে সাভারের প্রায় সবগুলো সড়ক-মহাসড়কে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে অবৈধ ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা। এর মধ্যে কোনটি পুরাতন রিকশার সাথে মোটর সংযোজন করা, আবার কোনোটি স্টিল বডিতে রিকশা, এছাড়াও রয়েছে অটোরিকশার আদলে ইজি বাইক।
করোনা ছড়ানোর ভয় উপেক্ষা করে সাভারের মহাসড়ক গুলোতে এসব অনুমোদনহীন রিকশার দৌরাত্ম্য চরমে পৌছে গেছে।
সাভারে কত লক্ষ এ ধরনের অটোরিকশা আছে, তার কোনো পরিসংখ্যান নেই কারো কাছে। দ্রুতগতির এসব হালকা বাহনে প্রায় ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। বিদ্যুতের অপচয় তো আছেই। আর করনো ভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকিও শতভাগ রয়ে যায়।
গণপরিবহন না থাকায় বাড়তি ভাড়ার লোভে মরিয়া হয়ে উঠেছে অটোরিকশা চালকরা।
এদিকে রিকশা চালকদের গায়ে বিশেষ কোন সুরক্ষা পোশাক না থাকায়, তারা নিজেরাই নিজেদের পরিবারকে ঝুঁকির মুখে ফেলছেন। আর যাত্রীর ঝুঁকিতা আছেই।
হুকুম আলী নামের এক চালক আগামী নিউজকে বলেন, "ঘরে ২ দিন চলার মত খাবার নাই, ঘরে বসে থাকলে আমরা খাবো কি?, মা-বাবা সহ ঘরে ৮ সদস্যের পরিবার, সেখানে আমি একা আয় করি। সব বুঝেও পেটের দায়ে রিকশা চালাচ্ছি।"
এ ব্যাপারে আশুলিয়া বাইপাইল এলাকার চেকপোস্টের দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার এসআই হারুন-অর-রশিদ আগামী নিউজকে বলেন, লকডাউন অপেক্ষা করে কোনো ধরনের রিকশা যাতে চলাচল করতে না পারে সে ব্যাপারে আমরা সর্বদাই কঠোর অবস্থানে রয়েছি, আমরা মহাসড়কে রিকশা দেখা মাত্রই আটকে দিচ্ছি, শুধু মাত্র জরুরি কোন রোগী থাকলে দু-একটা রিকশা ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।।
এসময় তিনি আরও বলেন, আগামীকাল থেকে রিকশা গ্যারেজের মালিকদের জানিয়ে দেওয়া হবে, তারা যেন গ্যারেজ থেকে রিকশা না ছাড়ে।
আগামীনিউজ/এস