 
                            
                                                ঢাকাঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সেনাবাহিনীও মাঠে নামানো হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা যারা দিয়েছে কিংবা চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর আছে।’
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের ভাষা সৈনিক আব্দুল জব্বার মিলনায়তনে বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের নির্বাচন কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে এ কথা বলেন তিনি।
৭ জানুয়ারিকে ভোটের তারিখ ধরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর। ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর বাছাই করা হয় মনোনয়নপত্র। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর।
চার দিন ধরে মনোনয়ন ফরম বিক্রির পর ইতোমধ্যে ২৯৮ আসনে প্রার্থী চূড়ান্তও করেছে আওয়ামী লীগ। তাদের সমমনা কয়েকটি দলও প্রার্থী তালিকা দিয়েছে।
অন্যদিকে দাবি আদায়ে এখনো রাজপথে আন্দোলনে ব্যস্ত বিএনপিসহ সরকারবিরোধী দলগুলো। নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে তারা রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। এমন অবস্থায় নির্বাচনে সেনা থাকবে কি তা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ছিল নির্বাচন কমিশন। আজ সেই বিষয়টি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনর মো. আলমগীর বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে সেনাবাহিনীও মাঠে নামানো হবে।
নির্বাচন কমিশনের ওপর বিদেশি চাপ নেই জানিয়ে মো. আলমগীর বলেন, তারা এসে আমাদের কাছে যেটা জানতে চান সেটা হচ্ছে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে আমরা কী কী কাজ করেছি।
নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতিতে এখন পর্যন্ত বিদেশিরা সন্তুষ্ট জানিয়ে মো. আলমগীর বলেন, তাদের পক্ষ থেকে আমাদের কোনো সাজেশন দেওয়া হয়নি, চাপ তো নয়ই। বরং সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনই সবাইকে চাপ দিয়ে বেড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনকে প্রতিহত করার জন্য যে সহিংসতার ঘটনা ঘটছে সেটা খুবই সীমিত পর্যায়ে আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছেন সবকিছুই তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ফলে নির্বাচনে বিঘ্ন ঘটা কিংবা ভোটাররা উৎসাহ নিয়ে ভোট দিতে যেতে পারবেন না, এমন ঘটনা ঘটার সুযোগ নেই। তপসিল ঘোষণার পর ভোটার-প্রার্থী থেকে শুরু করে সবাই এটিকে উৎসব হিসেবে নিয়েছেন।
নির্বাচনকে ঘিরে বড় কোনো চ্যালেঞ্জ নেই উল্লেখ করে ইসি আলমগীর বলেন, যেকোনো কাজ করতে গেলেই চ্যালেঞ্জ থাকে। ছোটখাটো চ্যালেঞ্জ তো আছেই। তবে কর্মকর্তারা এমন কোনো চ্যালেঞ্জের কথা বলেননি যেটা আমাদের কাছে বড় ইস্যু হিসেবে দেখা দিয়েছে।
এ সময় বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়া, জেলা প্রশাসক মুস্তাফিজার রহমান, পুলিশ সুপার মাছুম আহমেদ ভূঁইয়াসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এমআইসি/
-20251013141837.jpg) 
      -20251013095452.jpg) 
       
       
       
      -20250923081410.jpg) 
       
       
       
      -20250815155757.jpg)