Dr. Neem on Daraz
Victory Day

নবান্নে হাসি নেই হরিরামপুরের আমনচাষিদের


আগামী নিউজ | হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২৩, ১২:৪৫ পিএম
নবান্নে হাসি নেই হরিরামপুরের আমনচাষিদের

মানিকগঞ্জঃ বিভিন্ন এলাকায় আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। মাঠে মাঠে নবান্নের ধান কাটার ধুম পড়লেও মুখ মলিন কৃষকদের। বর্ষা মৌসুমে এবার পানি কম পাওয়ায় ফলন নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ। উৎপাদন খরচ উঠবে কি না—এ নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। লোকসানের শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকেরা।

 

অনেক কৃষক আবার ধান কেটে জমি তৈরি করছেন সরিষা বা মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষের জন্য। তবে ধানের ফলন ভালো না হওয়ায় লোকসানের শঙ্কায় রয়েছে উপজেলার কয়েক হাজার কৃষক।

 

উপজেলার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকার ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা ধান কাটার জন্য নিজে এবং রোজ হিসেবে শ্রমিক নিয়েছেন। অনেকে আবার পুরো খেত চুক্তিতেও ধান কাটাচ্ছেন।

 

কৃষকেরা জানান, বর্ষা মৌসুমে এবার পানি কম হওয়ায় এ বছর বোনা (ছিটায় বোনা) আমনের ফলন আশানুরূপ হয়নি। যা হয়েছে তাতে শ্রমিক খরচ দিয়ে লোকসানের আশঙ্কা রয়েছে।

 

উপজেলার বয়ড়া ইউনিয়নের মীরডাঙ্গী চরের আমনচাষি গইজদ্দীন বলেন, ‘দুই বিঘা জমিতে আমন ধান বুনছিলাম। পানি কম হওয়ায় এবার ফলন ভালো হয়নি। নিজে কাটলে খরচ উঠব। তাই নিজে কাটতেছি। কামলা নিলে লোকসান হইব।’

 

আরেক আমনচাষি সাহিদ খাঁ বলেন, ‘তিলের মধ্যে আমন চাষ করেছিলম। তিল ভালো হইছিল। তয় পানির কারণে আমন ধান কম হইছে।’

 

উপজেলার বাল্লা ইউনিয়নের খেরুপাড়া গ্রামের কৃষক বারেক মোল্লা বলেন, ‘আমি এ বছর দুই বিঘা জমিতে আমন বুনছি। কিন্তু পানি কম হওয়ায় ধান ভালো হয়নি। সার আর কামলা খরচ যে হারে লাগে তাতে আমার লোকসান হবে। কারণ, দুই বিঘা জমিতে সর্বোচ্চ ছয়-সাত মণ ধান হবে। এতে খরচ উঠব না।’

 

ঝিটকা উজানপাড়া গ্রামের নুরুল বলেন, ‘আমি তিন বিঘা জমিতে বোনা আমন বুনছি। ফলন মোটামুটি হইছে। তবে যে হারে খরচ হয়েছে, তাতে খরচের টাকা হয়তো উঠবে। ফলন যা হইছিল তাতে বর্ষার পানি যদি আরও কিছুদিন থাকলে আরও ভালো ফলন হতো। আমাদের এলাকায় ভরপুর একটা বর্ষা দরকার।’

 

উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় চলতি বছরে বোনা আমনের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৭০ হেক্টর জমি। তবে আবাদ ৩ হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে হয়েছে। আর রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১৫ হেক্টর জমিতে। আবাদ হয়েছে ৩৫ হেক্টর জমিতে।

 

উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা মো. সোহেল বলেন, ‘চলতি বছরে পানি একটু কম হওয়ায় নিচু এলাকায় রোপা আমন চাষ বেশি হয়েছে। তবে পানি একটু কম হলেও আমাদের যে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা আছে, তা পূরণ হবে আশা করি। আর কৃষক যাতে ধানের বীজ, সার ঠিকমতো পায় সে জন্য আমাদের যথেষ্ট তদারকি ছিল।

 

 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে