Dr. Neem on Daraz
Victory Day

খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধস, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত


আগামী নিউজ | জেলা প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি প্রকাশিত: আগস্ট ৮, ২০২৩, ১২:০৭ পিএম
খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধস, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

খাগড়াছড়িঃ টানা কয়েকদিনের ভারি বৃষ্টিতে খাগড়াছড়িতে একাধিক স্থানে আকস্মিক পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে, প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক মো. শহিদুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয় লোকজনদের সরে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সকাল থেকে পৌর শহরের শালবন, কলাবাগান, সবুজবাগ এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। 

এদিকে চেঙ্গী নদীর পানির বাড়ায় শহরের নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি প্রায় তিন হাজার পরিবার। এ ছাড়া মানিকছড়ি উপজেলায় পাহাড় ধসে যাওয়ায় ঝুঁকিতে পড়েছে বৈদ্যুতিক খুঁটি।

মধ্যশালবন এলাকার বাসিন্দা জুলেহা বেগম ও এয়ার হোসেন বলেন, এখানে ৪০ বছর বসবাস করছি, এই প্রথম পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটল। আমরা বাসায় ছিলাম। হঠাৎ শব্দ শুনতে পাই। সঙ্গে সঙ্গে বাসা থেকে বাইরে চলে যায়। গিয়ে দেখি পাহাড় ধসে পড়েছে। রান্নাঘর ক্ষতি হয়েছে বেশি। জেলা প্রশাসক দেখতে এসেছে। তিনি আমাদের আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা বলেছি ভয়ের কোনো আতঙ্ক নেই। আমরা ঘরে থাকতে চাই।

জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, জেলায় ৩৫ হাজার পরিবার ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে। আর খাগড়াছড়ি পৌর শহরের ৩০টি স্থানে বসবাস করছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার পরিবার। পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। 

খাগড়াছড়ির পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউল করিম বলেন, শালবন এলাকায় ১শ পরিবার ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের বাড়ি থেকে বের হয়ে আসার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। ভারি বৃষ্টি হচ্ছে, পাহাড় ধসে পড়া শুরু হয়েছে। পাহাড় ভেঙে পড়ছে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দুইটি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে খাবারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।  

খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফিন্সের স্টেশন কর্মকর্তা রাজেশ বড়ুয়া বলেন, পাহাড় ধস হলে জানমালের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই আমরা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় গিয়ে স্থানীয়দের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য বলছি। যদিও তারা ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র যেতে আগ্রহী নয়। আমরা সবসময় প্রস্তুত আছি।  

জেলা প্রশাসক মো. শহিদুজ্জামান বলেন, শালবন, কুমিল্লা, নেন্সিবাজারসহ বিভিন্ন এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বসবাসরত মানুষদের সরে যাওয়ার জন্য সেখানকার বসবাসকারীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শালবন এলাকায় দুটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এছাড়া দুর্যোগ মোকাবেলায় পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ করা হয়েছে। পুরো জেলায় ১৩৩টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এছাড়া দুর্যোগকালে জেলার ৯ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে।

বুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে