ছবি: আগামী নিউজ
গাইবান্ধা: আসন্ন ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান প্রার্থী জহুরুল ইসলাম বাদশাসহ ৯ প্রার্থী মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা তাদের মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করেন।
সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের দেয়া তথ্যে জানা যায়, মনোনয়পত্র যাচাই-বাছাইয়ের শেষ দিন ছিলো গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টা পর্যন্ত। এতে চেয়ারম্যান প্রার্থী ১, সংরক্ষিত নারী সদস্য ২ ও সাধারণ সদস্যপদের ৬ জনের মনোনয়পত্র বাতিল করা হয়। মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান প্রার্থী জহুরুল ইসলাম বাদশা বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নির্বাচনে লড়ার কথা ছিলো। ব্যক্তিগত সমস্যা দেখিয়ে তিনি এর আগে মনোনয়নপত্র প্রত্যারের দাবি করেছিলেন।
মনোয়নপত্র বাতিল হওয়া ২ সংরক্ষিত নারী সদস্য হলেন, শ্রীপুর ইউনিয়নের ৭, ৮, ৯ ওয়ার্ডের প্রার্থী নীপা রানী সরকার ও কাপসিয়া ইউনিয়নের ১, ২, ৩ ওয়ার্ডের প্রার্থী দুলালী বেগম। বয়স কম থাকায় তাদের ২ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
বাতিল হওয়া ৬ সাধারণ সদস্য হলেন, বয়স কম হওয়ায় বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য পদে মুহাইমিনুল ইসলাম। ঋণ খেলাপীর দায়ে বেলকা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য পদে নূর মোহাম্মদ মিন্টু ও ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের শেখ মো. আবু ছালেক। জাতীয় পরিচয়পত্রে জটিলতা থাকায় ছাপড়হাটী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য পদে সুরুজ্জামান মিয়া ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য পদে বাদশা মিয়া। প্রস্তাবকারীর স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে শ্রীপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে রেজাউল ইসলাম।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও ইউপি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সেকান্দার আলী বলেন, ‘১৩ ইউনিয়নে ৮৯৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। চেয়ারম্যানপদে ১০৪ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্যপদে ২২০ জন ও সাধারণ সদস্যপদে ৫৭১ জন। এদের মধ্যে ১ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৯ জনের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।’
উল্লেখ্য, আগামী ১১ নভেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিন। প্রতিক বরাদ্দ ১২ নভেম্বর ও ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২৮ নভেম্বর।
আগামীনিউজ/ হাসান