মামুনুল হক ইস্যুতে আরো ৩ পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার
                        
                        
                            
                                 আগামী নিউজ | হাসান আলী, সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি                                 প্রকাশিত: এপ্রিল ৮, ২০২১,  ১২:০০ পিএম                            
                            
                            
                        
                        
                        
                                                    
                            ফাইল ফটো
                                                
                            
                            
                            
                            
                        
                        সুনামগঞ্জঃ হেফাজত ইসলামের নেতা মামুনুল হকের ইস্যুতে আরো তিন পুলিশকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
২৯  মার্চ জয়শ্রী ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের  আফজাল খান দেশব্যাপী  ভাঙচুরের ছবি ফেসবুকে শেয়ার করায় সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় আফজাল খান নামে 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের এক নেতাকে পুলিশের সামনে  লাঞ্ছিত করার ঘটনায় ওসি দেলোয়ার হোসেন সহ তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। 
 
বুধবার রাতে সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান এ তথ্য  নিশ্চিত করেন জানান, ধর্মপাশা ওসি দেলোয়ার হোসেনকে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। এর আগে  বুধবার  দুপুরে  ধর্মপাশা থানার এসআই জহিরুল ইসলাম ও এএসআই আনোয়ার হোসেনকেও প্রত্যাহার করা হয়েছিল।
 
২৯ মার্চ জয়শ্রী ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের আফজাল খান দেশব্যাপী হেফাজতে ইসলামের হরতালের দিন হামলা ও আক্রমণের কিছু ছবি তার ফেসবুক আক্যাউন্ট থেকে পোস্ট দেন।
 
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) বিকালে মহেশপুর থেকে জয়শ্রী বাজারে আফজাল খানের কাছে যান। এই সময় তাদের সঙ্গে যান,  ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও হরিপুর সাতঘরিয়া  আবুল হাশেম আলমের ছেলে আল মুজাহিদ  সহ ২৫/৩০ জন।  আফজালের খানে কাছে ফেসবুক পোস্টের বিষয়ে ব্যাখ্যা চান। আফজাল বলেন, হেফাজতে ইসলামকে ব্যঙ্গ করে কোনো পোস্ট দেননি। তবে হেফাজতের আন্দোলনের নামে ধ্বংসাত্মক কাজের প্রতিবাদে একটি পোস্ট দিয়েছি।
 
এ নিয়ে আফজাল ও মুজাহিদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া  হয়। পরে মুজাহিদের ও তার লোকজন  আফজালকে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আটকে রাখেন।
 
খবর পেয়ে  ধর্মপাশা থানার এসআই জহিরুল ইসলাম ও এএসআই আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের নিয়ন্ত্রণ করেতে আফজাল হোসেনকে হাতকড়া  পড়িয়ে উপস্থিত সবার কাছে ক্ষমা চাইতে বলেন। 
 
সবার কাছে ক্ষমা চাওয়ার পর তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। থানায় নিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখে  রাতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
 
এ বিষয়ে  ছাএলীগ নেতা আফজাল কান বলেন,  মোজাহিদ শির্বির কর্মী ছিল, তার বিরুদ্ধে থেকেই আমাকে এমনটা করেছে। আর পুলিশ আমাকে বাধ্য করেছে সবার কাছে ক্ষমা চাইতে। আমি এর বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্হা নেব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাএলীগের ওই নেতাকে অপমান করার ঘটনায় জয়শ্রী ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম আলমকে দলের থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়। 
 
বুধবার বিকালে ধর্ম পাশা উপজেলার আওয়ামী লীগের জরুরি সভায়  সিদ্ধান্ত হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ধর্মপাশা উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ।
 
আগামীনিউজ/এএস