ছবিঃ আগামী নিউজ
মাগুরাঃ ৫ম বারের মতো ওয়ার্ল্ড গিনেস বুকে নাম লেখালেন মাগুরার ছেলে মাহামুদুল হাসান ফয়সাল। ‘মোস্ট ফুটবল আর্ম রোল’ ক্যাটাগরিতে মাত্র ৩০ সেকেন্ডে ৬২ বার বাহুতে ফুটবল ঘুরিয়ে তিনি রেকর্ডটি গড়েন।
গত ৩ এপ্রিল ওয়ার্ল্ড গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত সনদটি হাতে পেয়েছেন বলে আজ মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন। ১৮ বছর বয়সী তরুণ ফয়সাল এর আগেও ৪ বার ফুটবল ও বাস্কেটবল বাহুতে ঘুরিয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেন। গত ১৮ নভেম্বর তিনি ৩০ সেকেন্ডে ৬২ বার বাহুতে ফুটবল ঘুরিয়ে সর্বশেষ ওয়ার্ল্ড গিনেস রেকর্ডটি করেন।
এর আগে আরও ৪টি গিনেস রেকর্ড রয়েছে এই কিশোরের দখলে। যার মধ্যে রয়েছে এক মিনিটে সবচেয়ে বেশি বার ঘাড়ের ওপর ফুটবল (মোস্ট ফুটবল ‘সকার বল’ নেক থ্রো এন্ড ক্যাচেস ইন ওয়ান মিনিট) নাচিয়ে ও ধরে রেখে। এক মিনিটে ৬৬ বার ফুটবল ঘাড়ের ওপর ফুটবল নাচিয়ে। এছাড়া মোস্ট বাস্কেটবল নেক ক্যাচেস ইন ওয়ান মিনিট।
এক মিনিটে দুই হাতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৪৪ বার (মোস্ট বাস্কেটবল আর্ম রোল ইন ওয়ান মিনিট) বাস্কেটবল ঘুরিয়ে। ফয়সাল ফুটবল ফ্রি স্টাইলার প্রথম রেকর্ডটি গড়েন ২০১৮ সালে। সেই রেকর্ডটি ছিল মোস্ট ফুটবল আর্ম রোল ইন ওয়ান মিনিট ১৩৪ বার।
মাগুরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ম্যাকাটনিক্স বিভাগে ডিপ্লোমা প্রকৌশলে অধ্যায়নরত মাহামুদুল হাসানের বাড়ি সদর উপজেলার হাজিপুর গ্রামে। বাবা সোহেল রানা এক জন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য। মা মঞ্জুয়ারা খানম গৃহিণী।
ফুটবল ফ্রি স্টাইলার মাহামুদুল হাসানের সাথে কথা বলে জানা যায়, কোন পেশাদারী প্রশিক্ষণ ছাড়াই এসব কীর্তি গড়েছেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই তার খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ। ইচ্ছে ছিলো ক্রিকেটার হওয়ার। নানা প্রতিবন্ধকতায় তা পারেনি সে। এরপর শুরু করে ফুটবল নিয়ে বিভিন্ন খেলা। খেলতে খেলতেই সে ফুটবল নিয়ে নানা এক্সপেরিমেন্ট শুরু করে। তখনই মাথায় আসে বিভিন্ন কৌশল রপ্ত করে রেকর্ড গড়বার।
ফয়সাল বলেন, আমার নানা, নানীসহ পরিবারের সবাই আমাকে সহযোগিতা করেছেন। আমার স্বপ্ন, এরকম ২৫টি সার্টিফিকেট নিয়ে সবার সামনে হাজির হওয়া। পুরো বিশ্বের কাছে নিজের গ্রাম, জেলা, সর্বোপরি বাংলাদেশের পতাকাকে তুলে ধরতে চান।
ফয়সালের বাবা সোহেল রানা বলেন, ফয়সাল ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার প্রতি খুবই আগ্রহী। তবে এই রেকর্ডের জন্য সে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। এমনকি ওর পড়াশোনার ক্ষতি হয়েছে খুব। দুটো সেমিস্টার লস করেছে। তারপরও আমি ওকে উৎসাহিত করেছি। আজ ওর সাফল্যে আমরা খুবই আনন্দিত।
মাগুরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক হাজী মকবুল হোসেন বলেন, ফয়সালের এই রেকর্ড আমাদেরকে গর্বিত করেছে। ভবিষ্যতে যে কোনো ধরণের সহযোগিতা দিতে আমরা প্রস্তত।
আগামীনিউজ/এএস