ঢাকাঃ ২০০৮ আর ২০২২, ১৪ বছরের ব্যবধান। আইপিএলের প্রথম আসরে রাজস্থান রয়্যালসকে ফাইনালে তুলেছিলেন শেন ওয়ার্ন, দলকে শিরোপা জিতিয়ে সেবার গড়েছিলেন ইতিহাস। গত বছর অনেকটা হঠাৎ করেই কোটি অনুরাগীকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে ওয়ার্ন প্রয়াত হয়েছেন, রাজস্থান ১৪ বছর পর ফাইনালে উঠে দলটির হয়ে তাঁর সুখস্মৃতিকে যেন আবার ফিরিয়ে এনেছে। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে কোহলি-ডু প্লেসিদের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠেছে সঞ্জু স্যামসনের রাজস্থান।
দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে টস হেরে ব্যাট করতে নামা বেঙ্গালোর সেভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কোহলির মতো তারকা ব্যর্থ ছিলেন পুরোপুরি। করতে পারেন কেবল ৭ রান। অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসিও ২৭ বলে ২৫ রানের বেশি করতে পারেননি। বাকি ব্যাটাররাও প্রয়োজনের সময় ঝলসে উঠতে না পারায় ৮ উইকেটে ১৫৭ রানে থামতে হয় তাদের। জবাবে ৩ উইকেট হারানো রাজস্থান ১১ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করেছে।
বেঙ্গালোরের স্কোরটা চ্যালেঞ্জিং অবস্থায় যেতে পেরেছে রজত পতিদারের ব্যাটে। এলিমিনেটর রাউন্ডে আনক্যাপড হয়েও দ্রুততম সেঞ্চুরির কীর্তি গড়া ব্যাটার এই ম্যাচে ছিলেন পুরোপুরি রক্ষাকর্তার ভূমিকায়। ৪২ বলে তার ৫৮ রানের দুর্দান্তই ইনিংস-ই স্কোরটাকে একটা পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছে।
প্রতিপক্ষকে রুখে রাখতে রাজস্থানের হয়ে সেরা বোলিং ছিল প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ ও ওবেড ম্যাকয়ের। ২২ রানে ৩টি উইকেট নিয়েছেন কৃষ্ণ। ৩৩ রানে সমান উইকেট নেন ম্যাকয়ও।
জবাবে ম্যাচটা একাই বের করে আনেন জশ বাটলার। পাওয়ার প্লেতে বিস্ফোরক মেজাজে রান তুলে ম্যাচের গতিপথ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আরেক ওপেনার জশস্বী জয়েসওয়াল ২১, অধিনায়ক সানজু স্যামসন ২৩ আর দেবদূত পাডিক্কাল মাত্র ৯ রান করলেও বাটলারকে কোনওভাবেই রুখতে পারেনি বেঙ্গালোর। বরং বেধড়ক পিটিয়ে চতুর্থ আইপিএল শতকও তুলে নিয়েছেন। ১৮.১ ওভারে তার বিশাল ছক্কাতেই ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত হয় রাজস্থানের। ২০০৮ সালে উদ্বোধনী আসরের শিরোপা জেতার পর এটাই তাদের প্রথম ফাইনাল!
ম্যাচসেরা বাটলার অপরাজিত থেকেছেন ১০৬ রানে। তার ৬০ বলের বিস্ফোরক ইনিংসটিতে ছিল ১০টি চার ও ৬ টি ছয়ের মার। অবশ্য এই শতক হাঁকানোর পথে বিরাট কোহলির রেকর্ডেও ভাগ বসিয়েছেন তিনি। আইপিএলে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ চার সেঞ্চুরি ছিল কোহলির। এবার তার পাশে বসলো ইংলিশ ব্যাটারের নামটিও।
বেঙ্গালোরের হয়ে ২৩ রানে দুটি উইকেট নিয়েছেন জশ হ্যাজেলউড।
এমবুইউ