Dr. Neem on Daraz
Victory Day

তালেবানের বিরুদ্ধে আফগান কিশোরীর বীরত্বপূর্ণ প্রতিরোধ


আগামী নিউজ | আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ২৩, ২০২০, ০৩:১৭ পিএম
তালেবানের বিরুদ্ধে আফগান কিশোরীর বীরত্বপূর্ণ প্রতিরোধ

ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা : আফগানিস্তানের এক কিশোরী তার বাড়িতে হামলাকারী তালেবানদের হত্যা করে ব্যাপক আলোচনায় এসেছে। ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরী কামার গুলের বীরত্বের পেছনের গল্পটি বেদনায় ভরা এবং আফগান যুদ্ধের জটিল বাস্তবতা। 

গত ১৭ জুলাই রাতে দুই তালেবান জঙ্গিকে একাই গুলি করে মেরে ‘বীরত্ব’ দেখানোয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোড়ন তুলেছে ওই আফগান কিশোরী। অনেকেই কিশোরীর ‘বীরত্বের’ প্রশংসা করেছেন। জানা যায়, ওই জঙ্গিরা কিশোরীর মা-বাবাকে হত্যা করেছিল।

ওই হামলার পর আফগান সোশ্যাল মিডিয়া তাকে ‘মাই হিরো’ হিসেবে প্রশংসা করে বিভিন্ন স্থানে অতি দ্রুত পোস্টারে ছেয়ে ফেলে। তারা অনেকেই তাকে সিরিয়ার কুবানির কুর্দি নারীদের সঙ্গে তুলনা করেছেন, যেসব নারী ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। স্থানীয় কর্মকর্তারা রাইফেলসহ গুলের ছবি প্রকাশ করেছেন। 
আফগানিস্তানের ভাইস প্রেসিডেন্ট তার এই পদক্ষেপের জন্য প্রশংসা করেছেন।

আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলের ঘোর প্রদেশের স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই রাতে তালেবান জঙ্গিদের দলটি ওই কিশোরীর বাড়িতে হামলা চালায়। জঙ্গিদের গুলিতে কিশোরীর মা ও বাবা মারা যায়। তখন ঘরের ভেতর থেকে ছোট ভাইকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে সে।

পরিবারের একে-৪৭ রাইফেল দিয়ে তালেবান জঙ্গিদের লক্ষ্য করে সে পাল্টা হামলা চালায়। এতে দুই জঙ্গি নিহত এবং আরও কয়েকজন আহত হয়।

পরে তালেবানরা আবারও ওই বাড়িতে হামলা চালানোর চেষ্টা করলেও গ্রামবাসী এবং সরকার সমর্থিত সেনাদের বাধার মুখে তারা পিছু হটে। গুল এবং তার ছোট ভাইকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে অনুন্নত প্রদেশ ঘোর এবং সেখানে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার হার অন্য অঞ্চলের তুলনায় বেশি।

সরকারী বাহিনী এবং তালেবান জঙ্গিদের মধ্যে বড় বড় সংঘর্ষের যে সব খবর প্রকাশিত হয় তার বাইরেও অনেক ঘটনা চাপা পড়ে। প্রদেশটিতে প্রায়শই স্থানীয় ক্ষমতার প্রতিদ্বন্দ্বিতা, মাফিয়া গোষ্ঠী এবং মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘাত লেগেই থাকে। ক্রমবর্ধমানভাবে, সরকার সমর্থক এবং তালেবান উভয় পক্ষই স্থানীয় যোদ্ধাদের নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করে।

প্রদেশটির গ্রাম ও গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা স্থানীয় অস্ত্রধারীরা বেশিরভাগই কোনও বাড়ির ছেলে, ভাই বা স্বামী। যারা সবাই সবাইকে চেনে। এমনকি দেশটির সরকার এই অঞ্চলটি নিয়স্ত্রণে রাখার চেষ্টায় কয়েক হাজার স্থানীয় যোদ্ধাদের উপর নির্ভর করতে দেখা গেছে। যাদের মধ্যে প্রায়শই লড়াইয়ের প্রবণতা দেখা যায় কিন্তু সেসব খবর সরকারি হিসেবে স্থান পায় না। সূত্র : নিউইয়র্ক টাইমস, বিবিসি

 

আগামীনিউজ/এসপি
 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে