ছবিঃ সংগৃহীত
ঢাকাঃ খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিনের আনন্দ সবার সাথে ভাগ করে নিতে চলছে উৎসব উদযাপনের প্রস্তুতি। চার্চগুলোতে এখন শেষ সময়ের ব্যস্ততা। সান্তা ক্লজ, ক্রিসমাস ট্রি, ফুল, কেক, কার্ড আর নানা আয়োজনে এখন উৎসবমুখর পরিবেশ। ঢাকার পাঁচ তারকা হোটেলগুলো সাজানো হয়েছে ‘ক্রিসমাস ট্রি’ দিয়ে। যোগ হয়েছে রঙ-বেরঙের আলোকসজ্জা। থাকছে বিশেষ রেসিপি ও পার্টি। তবে করোনা অতিমারির কারণে এবারের বড়দিন উদযাপনে নেয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি, আসনসংখ্যাও থাকছে সীমিত।
ক্রিসমাস ট্রি তৈরি হয়েছে, গোশালা তৈরীর কাজও শেষ, এখন শুধু ক্ষণ গণনা। কখন আসবে সেই প্রহর। খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বিদের বাড়িতে এখন সাজ সাজ রব। ধর্মমত অনুযায়ি মানুষকে পাপের বোঝা থেকে মুক্তি দিতে বড়দিনে জন্ম নিয়েছিলেন খ্রীস্ট ধর্মের প্রবর্তক যীশু খ্রিস্ট। দিনটিকে বর্ণিল আয়োজনে উদযাপন করতে চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি।
অন্যান্য বছরের মতোই আয়োজন থাকলেও করোনা অতিমারির কারণে এবার নেয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। চার্চগুলোতে থাকছে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রার্থণার ব্যবস্থা।
বড়দিন উপলক্ষে নানা আয়োজনে ব্যস্ত রাজধানীর অভিজাত হোটেলগুলোও। ছোট বড় সবার জন্যই থাকছে বিভিন্ন আয়োজন। সাজানো হয়েছে জিনজার ব্রেড হাউস, হরেক রঙের বাতি ও ক্রিসমাস ট্রি দিয়ে। এসব আয়োজনে শিশুদের আনন্দ দিতে উপহার নিয়ে হাজির হবে সান্তাক্লজ। করোনা অতিমারির কারণে হোটেলের প্রবেশ পথেই রাখা হয়েছে হান্ডস্যানিটাইজার ও মাস্ক পড়ে প্রবেশের ব্যবস্থা।
শিশুদের জন্য রয়েছে ক্রিসমাস কিডস পার্টি। হোটেল ওয়েস্টিন, লা মেরিডিয়ান ও রেনিন্সস্সহ অভিজাত হোটেলগুলোয় পাওয়া যাবে বাহারি সব খাবার। এবারের খাবারের পরিবেশনে এনেছে ভিন্নতা। মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি।
২৫শে ডিসেম্বর বড় দিন হলেও এর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় নয় দিন আগেই। প্রভু যীশুর আলোকছটায় সবার জীবনই যেন মঙ্গলময় হয়, সেই আকাঙ্খাই থাকছে উৎসবের সবটা জুড়ে। বিশ্বজুড়ে হিংসা-বিদ্বেষের জায়গায়, স্থান করে নিক শান্তির বার্তা, করোনা অতিমারির দুর্যোগ কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক বিশ্ব, বড়দিনের উৎসবের এই সময়ে এমনটাই প্রত্যাশা খ্রীস্ট ধর্মাবলম্বীদের।
আগামীনিউজ/নাসির