Dr. Neem on Daraz
Victory Day

নির্বাচন কমিশনের চিঠি সরকারের নতুন কৌশল: ফখরুল


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৩, ০৩:২২ পিএম
নির্বাচন কমিশনের চিঠি সরকারের নতুন কৌশল: ফখরুল

ফাইল ছবি

ঢাকাঃ নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে রাজনৈতিক দলকে সংলাপের চিঠি দেওয়া সরকারের নতুন কৌশল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের চিঠির বিষয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হবে। নির্বাচন কমিশন দিয়ে চিঠি সরকারের নতুন কৌশল, কমিশনের কোনো ক্ষমতা নেই কিছু করার। এ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না, তাই আসল জায়গায় কাজ করুন। নিরপেক্ষ সরকারের ঘোষণা দিতে হবে।’

শনিবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর গুলিস্তানের মহানগর নাট্যমঞ্চে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বিএনপির উদ্যোগে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে নতুন খেলায় নেমেছে। আবারও একই পায়তারা করছে, পশ্চিমা বিশ্ব আগের মতো নির্বাচন চায় না।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে নয় জনগণকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়ার সুযোগ করতে হবে। মানে মানে তত্বাবধায়ক সরকার মেনে নিয়ে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে হবে।’

দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকার প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে, বিশ্বে দাম কমলেও দেশে কমে না।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আজ যারা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে তারা ভয়ংকর মিথ্যা ইতিহাস দিক্ষা দিচ্ছে। স্বাধীনতার চেতনা কি চুরি করা? লুট করা ভোট কেড়ে নেওয়া? সিন্ডিকেট করে রমজানে বিভিন্ন নিত্যপণ্যের মুল্যবৃদ্ধি করা? সেদিন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক শূন্যতা ও ব্যর্থতার কারণেই ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ রাতে গণহত্যা ঘটেছিল।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল জিয়াউর রহমানের ভাষণের মধ্য দিয়ে। সেদিন যারা রাজনৈতিক নেতা ছিলেন তাদের দায়িত্ব ছিল স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে জনগণকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য। কিন্তু সেদিন সেটা তারা দেননি।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধ করেনি। অন্যের কাঁধে বন্দুক রেখে মুক্তিযোদ্ধা সাজার নাটক করেছে। সমগ্র জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল জিয়াউর রহমানের ঘোষণার মধ্য দিয়ে। কিন্তু নতুন প্রজন্মের কাছে মিথ্যা ইতিহাস প্রচার করছে ক্ষমতাসীনরা।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সংকট একটাই, নির্বাচনের সময় যদি আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা থাকে তাহলে দেশে আর সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না, এটা প্রমাণিত। শুধু জাতীয় নির্বাচন হয় স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও একই সমস্যা। এ সমস্ত বাদ দিয়ে আসল জায়গায় আসুন নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতে হবে। সেটা নিয়ে কাজ করুন, সেটা নিয়ে কথা বলুন, সেটা নিয়ে ঘোষণা দিন। তা না হলে অন্য কোন কিছুই দেশের মানুষ মেনে নেবে না।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই যে আওয়ামী লীগ যাদের জোর করে ক্ষমতা থাকার অভ্যাস। আমার মনে হয় আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক দল এই রাজনৈতিক দল যদি একটি দেশে থাকে তাহলে তার সর্বনাশের জন্য আর কোনো কিছুর দরকার নেই। আওয়ামী লীগ একা যথেষ্ট। স্বাধীনতার পর যে স্বপ্ন, যে চেতনা, যে কমিটমেন্ট ছিল সমস্ত কিছু ভেঙে দিয়ে তারা একদলীয় শাসন বাকশাল কায়েম করেছে।’

আওয়ামী লীগ একটি পরিকল্পিতভাবে নতুন খেলায় নেমেছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন,‘সেই খেলাটা কী- মুখে গণতন্ত্রের কথা বলব, ভোটের কথা বলব, ভোটও করব কিন্তু আমার কাজটা আমি করে নেব। আমার মত করে নির্বাচন কমিশন গঠন করব, আমার মত করে প্রশাসন চলবে। আমি যা চাইব সেভাবেই করব।’

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন প্রমুখ।

বুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে