ছবিঃ সংগৃহীত
ঢাকাঃ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের সুপারিশে অনুমোদন করেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। সাধারণ পরিষদের ৭৬তম বৈঠকের ৪০তম প্লেনারি সেশনে বুধবার (২৪ নভেম্বর) এ সুপারিশ গৃহীত হয়। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা এক টুইটে এ খবর নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের সুপারিশ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয়েছে।
এমন অর্জনকে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ উল্লেখ করে রাবাব ফাতিমা বলেন, স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের সময় এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আমাদের কী হতে পারে।
এর আগে চলতি বছরে ২২-২৬ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (সিডিপি) বৈঠকে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়েছিল। এর ৯ মাসের মাথায় সেটি জাতিসংঘে গৃহীত হলো। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৬ সালে বাংলাদেশ আর স্বল্পোন্নত দেশের তালিকায় থাকবে না। উন্নয়নশীল দেশের তালিকাভূক্ত হবে।
যদিও এটি ২০২৪ সালে লাভ করার কথা ছিল। কিন্তু মহামারি করোনাভাইরাসের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ দুই বছর সময় চেয়ে নিয়েছিল।
একমাত্র দেশ হিসেবে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের যে ৩টি মানদণ্ডই বাংলাদেশ পূরণ করেছে সেগুলো হলো— মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ এবং অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ভঙ্গুরতা। মূলত এ তিনটি সূচকের ভিত্তিতেই জাতিসংঘ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের বিষয়টি পর্যালোচনা করে থাকে।
জাতিসংঘের পর্যালোচনা অনুযায়ী ২০১৯ সালে মাথাপিছু আয়ের মানদণ্ড নির্ধারিত ছিল ১ হাজার ২২২ মার্কিন ডলার। কিন্তু সে সময় বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ১ হাজার ৮২৭ ডলার। আর বর্তমানে (নভেম্বর-২০২১) সেটা ২ হাজার ৫৫৪ ডলার।
মানবসম্পদ সূচকে জাতিসংঘের নির্ধারিত মানদণ্ড ছিল সর্বনিম্ন ৬৬। আর তখন বাংলাদেশের ছিল ৭৫.৪।
অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ভঙ্গুরতা সূচকের মানদণ্ড নির্ধারিত ছিল ৩২ কিংবা তার কম। সে সময় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ২৭ এ।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সাল থেকে স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে থাকা বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে ২০১৮ সালে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (সিডিপি) সবগুলো শর্ত পূরণ করে।
আগামীনিউজ/নাসির