Dr. Neem on Daraz
Victory Day

৪৩তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আজ


আগামী নিউজ | ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২১, ০৯:৩৯ এএম
৪৩তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আজ

ছবিঃ সংগৃহীত

​​​​​ঢাকাঃ ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আজ শুক্রবার (২৯ অক্টোবর)। দেশের আটটি বিভাগের মোট ৩৬৯ টি কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ১০টায় শুরু হয়ে এই পরীক্ষা চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।

ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের কেন্দ্রগুলোতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে গুরুত্বপূর্ণ এ পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ১৭৭ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে সরকার। গত রোববার (২৪ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত সংশোধিত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

এতে বলা হয়, পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্রের ভেতর ও বাইরের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ঢাকার ১৬৭টি পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রতিটির জন্য একজন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটসহ বি.পি.এস.সি-এর কন্ট্রোল রুমে অতিরিক্ত আরও ১০ জন বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কর্মকর্তাকে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের সাধারণ ক্ষমতা অর্পণপূর্বক মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর ৫ ধারার বিধান মোতাবেক তাদের নামের পাশে বর্ণিত আইনে পরীক্ষাকেন্দ্র/অধিক্ষেত্রে এবং সময়কালে ক্ষমতা প্রদান করে নিয়োগ করা হলো।

এরইমধ্যে পরীক্ষার আসনবিন্যাস প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
পিএসসি থেকে বলা হয়েছে, এমসিকিউ টাইপের এ পরীক্ষায় বই-পুস্তক, সব ধরনের ঘড়ি, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংকক্রেডিট কার্ড সদৃশ কোনো ডিভাইস, গহনা ও ব্যাগসহ প্রবেশ করা নিষেধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

পরীক্ষা কেন্দ্রের গেটে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট-পুলিশের উপস্থিতিতে প্রবেশপত্র এবং মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে মোবাইল ফোন, ঘড়ি, ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ নিষিদ্ধ সামগ্রী তল্লাশির মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।

পরীক্ষার দিন উল্লিখিত নিষিদ্ধ সামগ্রী সঙ্গে না আনার জন্য সব প্রার্থীর মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠানো হয়েছে। এসএমএসের নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।

পরীক্ষার সময় প্রার্থীদের কানের ওপর কোনো আবরণ রাখবেন না, কান খোলা রাখতে হবে। কানে কোনো ধরনের হিয়ারিং এইড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শপত্রসহ আগেই কমিশনের অনুমোদন দিতে হবে।

পরীক্ষার কেন্দ্রে কোনো প্রার্থীর কাছে এসব নিষিদ্ধ সামগ্রী পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্তসহ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা ২০১৪ এর বিধি ভঙ্গের কারণে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলসহ ভবিষ্যতে কর্ম কমিশন কর্তৃক গৃহীতব্য সব নিয়োগ পরীক্ষার জন্য ওই প্রার্থীকে অযোগ্য ঘোষণা করা হবে।


পরীক্ষা সংক্রান্ত নির্দেশনা-

১. প্রার্থীদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ৮ (আট) ডিজিট। রেজিস্ট্রেশন নম্বরের ডিজিট উত্তরপত্রের প্রযোজ্য ঘরে কালো কালির বল পয়েন্ট কলম দিয়ে লিখে বৃত্ত ভরাট করতে হবে।

২. প্রতিটি উত্তরপত্রে সেট নম্বরের নির্ধারিত স্থানে সেট নম্বর এবং সেট নম্বরের জন্য নিচের সংশ্লিষ্ট বৃত্তটি থাকবে। প্রার্থীদের উত্তরপত্রে সেট নম্বর লেখা এবং সেট নম্বরের বৃত্ত ভরাট করার প্রয়োজন হবে না। সকাল ১০টায় প্রশ্ন পত্র প্রাপ্তির পর প্রার্থী তার প্রশ্নপত্রের সেট নম্বর এবং উত্তরপত্রের সেট নম্বর অভিন্ন কি না তা চেক করে নিশ্চিত হবেন। উত্তরপত্রের সেট নম্বর অভিন্ন না হলে সঙ্গে সঙ্গে পরিদর্শককে জানাবে।

৩. প্রশ্নপত্র দেওয়ার পর (সকাল ১০টা) কোনো প্রার্থীকে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। প্রশ্নপত্র নেওয়ার পর পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত (দুপুর ১২টা পর্যন্ত) কোনো প্রার্থী পরীক্ষা কক্ষ ত্যাগ করতেও পারবেন না।

৪. কোনো প্রার্থীর ছবি, স্বাক্ষর, প্রবেশপত্র এবং উত্তরপত্রের নাম ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরের গড়মিলসহ কোনোরূপ অনিয়ম ধরা পড়লে ওই প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

৫. পরীক্ষা কেন্দ্রে বই-পুস্তক, সকল প্রকার ঘড়ি, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, সকল ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যাংক কার্ড/ক্রেডিট কার্ড সদৃশ কোনো ডিভাইস, গহনা ও ব্যাগ আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

৬. পরীক্ষা হলের গেটে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশের উপস্থিতিতে প্রবেশপত্র এবং মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে মোবাইল ফোন, ঘড়ি, ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ নিষিদ্ধ সামগ্রী তল্লাশির মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের পরীক্ষা হলে প্রবেশ করতে হবে।

৭. পরীক্ষার সময় প্রার্থীরা কানের ওপর কোনো আবরণ রাখবেন না, কান খোলা রাখতে হবে। কানে কোন ধরনের হিয়ারিং এইড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শপত্রসহ কমিশনের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।

৮. প্রার্থীদের কেন্দ্র পরিবর্তনের কোনো আবেদন বিবেচনা করা হবে না।

৯. প্রার্থীর আবেদনপত্রে গুরুতর ত্রুটি ধরা পড়লে পরীক্ষার আগে বা পরে যেকোনো পর্যায়ে ওই প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হবে।

১০. ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষা-২০২০ এর প্রিলিমিনারি টেস্টের ওএমআর উত্তরপত্রের দুটি অংশ থাকবে। প্রথম অংশে প্রার্থীর নাম, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, সেট নম্বর এবং স্বাক্ষরের স্থান থাকবে। দ্বিতীয় অংশে ২০০টি উত্তর প্রদানের জন্য ১-২০০ পর্যন্ত ক্রম অনুযায়ী বৃত্তসমূহ থাকবে।

৪৩তম সাধারণ বিসিএসের জন্য গত বছরের ৩০ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। ৩০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় আবেদন-প্রক্রিয়া। শুরুতে আবেদনের শেষ সময় এ বছরের ৩১ জানুয়ারি করা হলেও পরে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সুপারিশে সময় বাড়িয়ে ৩১ মার্চ পর্যন্ত করা হয়।

উল্লেখ্য, ৪৩তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৮১৪ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ৩০০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ১০০ জন, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ২৫ জন, শিক্ষা ক্যাডারে ৮৪৩ জন, অডিটে ৩৫ জন, তথ্যে ২২ জন, ট্যাক্সে ১৯ জন, কাস্টমসে ১৪ জন ও সমবায়ে ১৯ জন নিয়োগ দেওয়া হবে।

আগামীনিউজ/বুরহান

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে