Dr. Neem on Daraz
Victory Day

মোট জনসংখ্যার চেয়ে জন্ম নিবন্ধন ১ কোটি বেশি!


আগামী নিউজ | ‍নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২১, ১১:৪১ এএম
মোট জনসংখ্যার চেয়ে জন্ম নিবন্ধন ১ কোটি বেশি!

ঢাকাঃ প্রকৃত জনসংখ্যার চেয়ে জন্ম নিবন্ধনের সংখ্যা বাংলাদেশে ৯৯ লাখ ছয় হাজার বেশি! প্রায় এক কোটি। জন্ম নিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে এখন পর্যন্ত ১৮ কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষের জন্ম নিবন্ধন করা হয়েছে। অথচ আদমশুমারির চলতি বছরের হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ তথ্য বলছে, দেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি ২০ লাখ ৯৪ হাজার। তাহলে বাড়তি নিবন্ধনকারীরা কারা?

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, জন্ম নিবন্ধন নির্ভুলভাবে করা হচ্ছে না। এক ব্যক্তির একাধিক নিবন্ধন, জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধন না হওয়া, তথ্য যাচাইয়ে দুর্বলতা, মৃত ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন বাতিল করে তালিকা সংশোধন না করায় এমন অস্বাভাবিক হিসাব দেখা দিয়েছে।

জন্ম নিবন্ধন হালনাগাদ করার পেছনে গত তিন দশকে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছে। বিশ্বব্যাংক, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি ছাড়াও বেশ কিছু দেশি-বিদেশি উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় দেশের সরকারগুলো জন্ম নিবন্ধনকে অন্যতম দরকারি উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হিসেবে চিহ্নিত করেছে। কারণ কমপক্ষে ১৬টি অত্যাবশ্যক পরিসেবা পেতে জন্ম নিবন্ধন সর্বপ্রথম প্রয়োজন। অথচ হিসাব ঠিক নেই। নিবন্ধনে ভুল হলে তা সংশোধনে এবং নতুন করে নিবন্ধন করতে ভোগান্তি পোহাতে হয়।

দেখা যায়, রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ের অনলাইনে কাজ করার জন্য অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের কাজ শেষ হয়নি। নিবন্ধনের আবেদন, মৃত্যু নিবন্ধনের আবেদন করতে গেলে সহজে করা যাচ্ছে না। ফেসবুক পেজটিরও গত বছর ৭ অক্টোবরের পর কোনও আপডেট নেই। আইন অনুযায়ী শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক হলেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন। মোট জন্ম নিবন্ধনের তুলনায় জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধনের হার খুবই কম।

জানা যায়, স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ই দেশের নাগরিকদের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচলনা করছে। জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র দুটি আলাদা কর্মযজ্ঞ। জন্ম নিবন্ধনের কাজটি করে ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা/সিটি করপোরেশনের কমিশনার অফিস। সারা বছরই জন্ম নিবন্ধন বা তা সংশোধন করা যায়। ২০০৪ সালের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন অনুযায়ী পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র, বিয়ে নিবন্ধন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি, ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং জমি নিবন্ধনে বয়স প্রমাণের জন্য জন্ম সনদ ব্যবহার বাধ্যতামূলক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, জন্ম নিবন্ধনে অসংখ্য দ্বৈততা রয়েছে। কেউ ঢাকার বাইরে থেকে নিয়েছে, আবার ঢাকা থেকে নিয়েছে। কেউ নিবন্ধন সনদ হারিয়ে ফেলায় নতুন করে আবার নিয়েছে। এগুলো এখনও বাদ করা হয়নি। সার্ভারে সমস্যার কারণে একই নিবন্ধন একাধিকবার করার নজিরও আছে। তবে নতুন সফটওয়্যার স্থাপনের পর দ্বৈত নিবন্ধন খুঁজে বের করা যাচ্ছে। বর্তমানে দেশ ও দেশের বাইরে মিলিয়ে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার স্থান থেকে জন্ম নিবন্ধন করা যাচ্ছে; যদিও রোহিঙ্গা ইস্যুর পর থেকে এসব বিষয়ে বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে।

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে

জাতীয় বিভাগের আরো খবর