পাশা খন্দকার। ছবি: সংগৃহীত
আমরা সমুদ্রে যাইনি মধুচন্দ্রিমায়
তবুও আমাদের মধ্যে
সমুদ্র জাগে
প্রতিরাতে গভীর প্রহরে
কিভাবে ধেয়ে আসে আমাদের শয্যায়
উদ্ধত সমুদ্র,
জ্যোৎস্না কেমন ক্ষ্যাপাটে করে দেয়
শরীরের চেকনাই খুলে খুলে
আলোরা খেলতে থাকে
রাতের নির্যাস চুঁয়ে চুঁয়ে
দু'জনের শয্যায় কতকিছু ঢলে পড়ে
কখনও মেঘ হাওয়া- আধভাঙা ডালিমের
জমাট লালী-
কখনও ফেনীল ফেনা
আবার কখনও মিথুনরত নগ্ন মথ।
আমরা কৃষ্ণঘন অরণ্যে ঘুরে ফিরি উন্মাতাল
ছিপের ফাৎনা নাড়াই
নৌকোর ছৈয়ে উঠে উলোট-পালট খেলি
শামুক-শাপলা গেঁথে
জড়াই বেণীর লতায়;
অবশেষে রক্ত তরঙ্গ স্মিত হয়ে এলে
বেলুনের মতো চুপসে যাই।।