Dr. Neem on Daraz
Victory Day

কুমারীলতা


আগামী নিউজ | ড. নিম হাকিম প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১, ০৬:০০ পিএম
কুমারীলতা

ছবিঃ সংগৃহীত

পরিচিতিঃ (Botanical Name: Smilax zeylanica L., Common Name: Kumarilata, English Name: Indian Sarsaparilla, Family: Liliaceae)

কুমারীলতা বড় কন্টকময় লতা জাতীয় উদ্ভিদ। পাতার অগ্রভাগে সরু, বৃন্তদেশ গোলাকার প্রায় ১৫-৩০ সেমি লম্বা। লতা বেশ শক্ত। পাতার উপরিভাগ মসৃণ। পুষ্পদন্ড ২ থেকে ৬ সেমি, অনেক শাখা-প্রশাখাযুক্ত। প্রত্যেক ফলে ১-২ টা বীজ থাকে। গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে ফুল ও শীতে ফল হয়।

প্রাপ্তিস্থানঃ চট্টগ্রাম, রংপুর ও দিনাজপুরে এই গাছ বেশী দেখা যায়।

চাষাবাদঃ বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ হয় না। তবে বরেন্দ ও টিলাযুক্ত মাটিতে ভাল জন্মে। অন্যান্য গাছপালার মাঝে মাঝে বীজ রোপণের মাধ্যমে জন্মানো যায়।

লাগানোর দূরত্বঃ ১০-১৫ ফুট দূরে দূরে লাগাতে হবে।কুমারীলতা দ্রুত বাড়ে এবং লতাজাতীয় গাছের স্বভাব অনুযায়ী অন্যান্য গাছকে অবলম্বন করে।

উপযোগী মাটিঃ কম স্যাঁতস্যাঁতে এবং মরুময় মাটিতে ভাল জন্মে।

প্রতি কেজিতে বীজের পরিমাণঃ প্রতি কেজিতে ৩৫০০-৪০০০ পর্যন্ত বীজ হয়।

বীজ সংগ্রহের সময়ঃ মে-জুন মাস।

প্রক্রিয়াজাতকরণ সংরক্ষণঃ বীজ আহরণের পর বীজ ছায়াযুক্ত রোদে ভাল করে শুকিয়ে বাঁশের পাত্র বা বায়ুরোধী কোন পাত্রে সংরক্ষণ করতে হবে।

ব্যবহার্য অংশঃ সমগ্র লতা ও শিকড়।

উপকারিতা/লোকজ ব্যবহারঃ গনোরিয়া ও সিফিলিস রোগে পাহাড়ী অঞ্চলের লোকজন ব্যবহার করে থাকেন।

কোন অংশ কিভাবে ব্যবহৃত হয়ঃ

  • গনোরিয়া ও সিফিলিস রোগে লতা কেটে ছোট ছোট টুকরো করে তা ১২ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেতে হবে।

পরিপক্ক হওয়ার সময়কালঃ ১ বৎসর।

অন্যান্য ব্যবহারঃ পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

আয়ঃ প্রতি একর জমিতে বছরে ৩৫,০০০ থেকে ৪০,০০০ টাকা আয় করা যেতে পারে।

আগামীনিউজ/নাসির 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে