Dr. Neem on Daraz
Victory Day

হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর চাপ কমেছে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০২৩, ০৪:২৪ পিএম
হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর চাপ কমেছে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

ঢাকাঃ সারাদেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুর সংক্রমণ অব্যাহত রয়েছে। তবে রোগী ভর্তির তুলনায় সুস্থতার হার বেশি হওয়াও হাসপাতালে চাপ কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বুধবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে দেশের চলমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. মো. হাবিবুল আহসান তালুকদার।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে রোগী ভর্তি ছিলেন ১ হাজার ৯৮৪ জন। এর মধ্যে ১০ জন মৃত্যুবরণ করেছে। এ সময় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছে ২ হাজার ২৮৮ জন। গত কয়েকদিনে ভর্তির তুলনায় রোগী সুস্থ হওয়ার সংখ্যা বেড়েছে। এই মূহুর্তে হাসপাতালে রোগীর চাপ কিছুটা কম। ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় ডেঙ্গু ডেডিকেটেড হাসপাতালে মোট শয্যার সংখ্যা ২ হাজার ৬২৫টি। এসব শয্যায় বর্তমনে রোগী ভর্তি আছে ১ হাজার ৮৯০ জন, খালি শয্যার সংখ্যা  ৯৫৬টি। শয্যা ব্যবহারের হার ৭২ শতাংশ, আর খালি আছে ২৮ শতাংশ শয্যা।

রোগী পরিস্থিতি তুলে ধরে জানানো হয়, জুলাইয়ে ডেঙ্গু রোগী ছিল ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন। অপরদিকে চলতি আগস্টের ১৬ তারিখ পর্যন্ত রোগীর সংখ্যা ৩৮ হাজার। এ বছর মোট রোগী ৮৯ হজার ৮৭৫ জন, এর মধ্যে ৪২৬ জন মারা গেছেন। বর্তমানে ভর্তি আছেন ৯ হাজার ১১৭ জন। ভর্তি রোগীদের সর্বাধিক ৭৪ শতাংশ রোগীর বয়স ২০ থেকে ৪০ বছর । ৫ বছরের নিচের শিশু আক্রান্তের হার ৬ শতাংশ, ষাটোর্ধ্ব রোগী ৫ শতাংশ। পুরুষ  ও নারী রোগীর রেসিং বিবেচনায় ৬৩ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭ শতাংশ নারী।

এসময় আরও বলা হয়, ঢাকা সিটি করপোরেশনের বাইরে সারাদেশে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের হার ঢাকা বিভাগের ফরিদপুর, টাঙ্গাইল ও নরসিংদী জেলায়। বরিশাল বিভাগে বরিশাল, পটুয়াখালী ও পিরোজপুর জেলায় এবং চট্টগ্রাম বিভাগে চট্টগ্রাম, চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুর জেলায়।

ডেঙ্গু পরীক্ষার কিটের ঘাটতি নেই জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ডেঙ্গু পরীক্ষার এনএস-১ কিটের পর্যাপ্ত সংখ্যক মজুদ স্বাস্থ্য অধিদফতরে রয়েছে। পাশাপাশি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেলা হাসপাতালে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তারা দ্রুততম সময়ে প্রয়োজন অনুযায়ী কোটেশনের মাধ্যমে ক্রয় করতে পারবে। প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পরীক্ষার খরচ এক রেট নির্ধারণ করে সরকারিতে ৫০ টাকা ও বেসরকারিতে ৩০০ টাকা বহাল রাখা হয়েছে।

স্যালাইন সংকট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গণমাধ্যমের মাধ্যমে খবর পেয়েছি- বাজারে আইভি ফ্লুইডের (স্যালাইন) সংকট রয়েছে। তবে এ সংকটটা আমাদের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে নেই, বেসরকারি হাসপাতাল যেগুলো রয়েছে তারা হয়তো বাজারের ফার্মেসিতে গিয়ে ঠিকমতো স্যালাইন পাচ্ছে না। কিছু জায়গা থেকে এ ধরনের রিপোর্ট এসেছে। এর প্রেক্ষিতে গত ১৪ আগস্ট মন্ত্রী ও সচিবদের সঙ্গে আমাদের একটা মিটিং হয়েছে। মিটিংয়ে আমরা বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা ও পর্যালোচনা করে সংকটের বিষয়টি দেখেছি।

অধিদপ্তরের এ পরিচালক বলেন, যেহেতু কিছু আইভি ফ্লুইডের সংকট আছে, মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে দ্রুততম সময়ে আইবি ফ্লুইড আমদানি করার। এ বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করছে। এ বিষয়ে ইডিসিএলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তারা দ্রুততম সময়ে ব্যবস্থা নেবেন। যদি আমরা এটি আমদানি করতে পারি তাহলে বাজারে যে সংকট আছে, সেটি আর থাকবে না।

বুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে