Dr. Neem on Daraz
Victory Day

যাত্রাপথে বমি প্রতিরোধে যা করবেন


আগামী নিউজ | স্বাস্থ্য ডেস্ক প্রকাশিত: এপ্রিল ৩০, ২০২২, ০৮:৪৬ এএম
যাত্রাপথে বমি প্রতিরোধে যা করবেন

ঢাকাঃ গাড়িতে চড়লে অনেকেরই মাথা ঘোরে ও বমি হয়। এ সমস্যার কারণে কোথাও ভ্রমণকালে গাড়িতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকেই। এ সমস্যাকে মূলত মেডিকেলের ভাষায় বলা হয় ‘মোশন সিকনেস’। এ ধরনের সমস্যা অনেকেই এড়িয়ে যান। ফলে দীর্ঘদিন এরকম সমস্যা নিয়েই অনেকেই যাতায়াত করেন। এ কারণে কেউ কেউ দূরের যাত্রাকে ভয়ও পান। এ সমস্যা থেকে চাইলেই সুস্থ থাকা সম্ভব।

কিছু বিষয় খেয়াল করলে এবং কিছু নিয়ম মেনে চললে এ সমস্যা খুব সহজে এড়িয়ে চলা যায়। ভ্রমণকালে অনেকেরই মাথা ঘোরা ও বমিভাব হয়ে থাকে। গতি ও জড়তার ফলে মস্তিষ্কে সমন্বয়হীনতার বাহনগুলোতে বমির সমস্যা হতে পারে। অন্তঃকর্ণ আমাদের শরীরের গতি ও জড়তার ভারসাম্য রক্ষা করে।

যখন কেউ কোনো যানবাহনে চলাফেরা করেন তখন অন্তঃকর্ণ মস্তিষ্কে খবর পাঠায় যে সে গতিশীল। তবে চোখ বলে ভিন্ন কথা। কারণ তার সামনের বা পাশের মানুষগুলো কিংবা গাড়ির সিটগুলো থাকে স্থির। আমাদের চোখ আর অন্তঃকর্ণের এই সমন্বয়হীনতার কারণে মোশন সিকনেস হয়। এছাড়াও অ্যাসিডিটি, অসুস্থতা, গাড়ির ধোঁয়া কিংবা বাজে গন্ধের কারণেও গাড়িতে বমি হতে পারে।

বমি বা মোশন সিকনেস প্রতিরোধে করণীয়

>> গাড়ি যেদিকে চলে তার উল্টো দিকের সিটে না বসা। কারণ উল্টো দিকে বসলে বমিভাব বেশি হয়ে থাকে।

>> গাড়ির সামনের দিকে বসার চেষ্টা করা। কারণ পেছনে বসলে গাড়িকে বেশি গতিশীল মনে হয়। যার ফলে দ্রুত ভারসাম্য নষ্ট হয় ও মোশন সিকনেস দেখা যায়।

>> জানালার পাশে বসার চেষ্টা করা এবং জানালা যেন খোলা থাকে। এসি পরিবহন হলে এ ক্ষেত্রে অবশ্য কিছু করার নেই। আর জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকার চেষ্টা করা। এতে মোশন সিকনেস হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

>> বমির কথা চিন্তা না করা। এতে বমির ট্রিগার হতে পারে। পাশে পরিচিত কেউ থাকলে তার সঙ্গে কথা বলা।

>> যাত্রাপথে কারো দেওয়া কোনো খাবার গ্রহণ করা যাবে না। এতে বিপদ হতে পারে। যাত্রা অনিরাপদ হয়ে যেতে পারে।

>> চোখ বন্ধ রাখা যেতে পারে। কিংবা ঘুমিয়ে যাওয়া। যাত্রার আগের দিন ঠিকমত ঘুম হওয়া জরুরি। অনেক সময় ঠিকভাবে ঘুম না হওয়ার কারণে মাথাব্যথাও বমির কারণ হতে পারে।

>> গাড়িতে উঠার আগে হালকা কিছু খেতে নেওয়া। যাতে খালি পেটে ভ্রমণ করতে না হয়। তবে ভ্রমণের আগে বেশি খাবার খাওয়া যাবে না। যাত্রাপথে যত কম খাওয়া যায় ততই ভালো।

>> বমি ভাব দূর করার জন্য আদা, লেবু, দারুচিনি, লবঙ্গ, তেতুলের চাটনি, আচার, কমলা বা টক জাতীয় যেকোনো ফল সঙ্গে রাখা যেতে পারে। এতে বেশ ভালো ফল পাওয়া যায়।

>> লেবু পাতাও রাখা যেতে পারে। এর ঘ্রাণ বমিভাব দূর করে। বয়স্ক নারী ও গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে যাত্রাপথে বিশেষ যত্ন রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা।

>> যখনই বমি ভাব হবে মুখে এক টুকরা লবঙ্গ দিন। এতে বমি ভাব চলে যাবে। চুইংগাম, লজেন্স খেলেও বমি ভাব হবে না।

>> বমিরোধে কিছু সাধারণ ওষুধ সঙ্গে রাখা যেতে পারে। বাজারে জয়ট্রিপ নামে ট্যাবলেট পাওয়া যায়। অথবা অনডেনসেট্রন জাতীয় ওষুধ গাড়িতে উঠার আগে বা খাওয়ার আগে খেয়ে বমিভাব থাকে না। ডমপেরিডন জাতীয় ওষুধও খাওয়া যেতে পারে। তবে এসব ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অতিরিক্ত বা অযথা বমির ট্যাবলেট খেলে বিপদ এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকে।

>> মোশন সিকনেস নিয়ে খুব বেশি সমস্যা হলে ও বার বার একই রকম হলে তাদের উচিত একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে দূরের পথে যাত্রা করা। চিকিৎসার মধ্যে থেকে এই সমস্যা থেকে ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠা।

এমএম

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে